AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

HAL Order Book: হাতে ২ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকার অর্ডার, সামলাতে পারবে Hindustan Aeronautics Ltd?

Hindustan Aeronautics Ltd Backlog: তথ্য বলছে এই মুহূর্তে হ্যালের হাতে রয়েছে প্রায় ২ লক্ষ ৭০ হাজার কোটির অর্ডার। যা তারা এখনও ডেলিভার করে উঠতে পারেনি। যদিও বারে বারে প্রশ্নের মুখে পড়েছে এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কাজের গতি। কারণ, সময় মতো অর্ডার ডেলিভারি করার ক্ষেত্রে ক্রমশ পিছিয়ে পড়েছে হ্যাল।

HAL Order Book: হাতে ২ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকার অর্ডার, সামলাতে পারবে Hindustan Aeronautics Ltd?
নাভিশ্বাস হ্যালের, কীভাবে কাজে বাড়বে গতি?Image Credit: PTI
| Updated on: Nov 18, 2025 | 11:17 AM
Share

ভারতের প্রথম সারির প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী সংস্থা হল হ্যাল বা হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড। এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা দেশের প্রতিরক্ষার জন্য অবিরাম কাজ করে চলেছে। কিন্তু এই অবিরাম কাজ করার পরও সংস্থার হাতে এখনও কয়েক লক্ষ কোটি টাকার অর্ডারের ব্যাকলগ রয়েছে। আর সেই অর্ডারের চাপ সামলাতেই নাভিশ্বাস উঠছে তাদের।

তথ্য বলছে এই মুহূর্তে হ্যালের হাতে রয়েছে প্রায় ২ লক্ষ ৭০ হাজার কোটির অর্ডার। যা তারা এখনও ডেলিভার করে উঠতে পারেনি। যদিও বারে বারে প্রশ্নের মুখে পড়েছে এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কাজের গতি। কারণ, সময় মতো অর্ডার ডেলিভারি করার ক্ষেত্রে ক্রমশ পিছিয়ে পড়েছে হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড। এবার এই সমস্যার সমাধানেই মাঠে নেমেছে আন্তর্জাতিক পরামর্শদাতা সংস্থা বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ।

বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ কী করবে?

বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ তাদের প্রথম রিপোর্টটি আগামী মার্চ মাসের মধ্যে তৈরি করে ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে। মূল লক্ষ্য একটাই: হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধি করে উৎপাদন প্রক্রিয়াকে দ্রুততর করা। বিশেষত, তেজসের মতো গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধবিমানের দ্রুত ডেলিভারি নিশ্চিত করতে এই পরিবর্তন অপরিহার্য। কারণ, ভারতীয় বায়ুসেনার প্রয়োজন মেটাতে পুরনো কাঠামোর দুর্বলতা সবার আগে শুধরে নিতে চাইছে এই রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক সংস্থা।

  • উৎপাদন বৃদ্ধি: বর্তমানে তেজসের উৎপাদন ক্ষমতা বছরে ৮ থেকে ১৬ ইউনিট। চেষ্টা করা হচ্ছে আগামীতে তা বাড়িয়ে ২৪ ইউনিটে নিয়ে যাওয়ার। আর এর জন্য ২০২৫–২০২৬ অর্থবর্ষের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে।
  • বেসরকারি সংস্থাকে কাজ: এ ছাড়াও উৎপাদনের গতি বাড়াতে Larsen & Toubro (L&T) এবং Tata Aerospace-এর মতো দেশের প্রথম সারির বেসরকারি সংস্থাগুলিকে উইংস বা ফিউসেলেজের মতো বড় অংশ তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড শুধুমাত্র ফাইনাল অ্যাসেম্বলি এবং টেস্টিং-এর দিকে নজর দিতে পারবে।
  • নতুন বিজনেস ইউনিট: দক্ষতা বাড়াতে ফিক্সড-উইং এয়ারক্রাফ্ট, হেলিকপ্টার এবং রক্ষণাবেক্ষণ পরিষেবার জন্য স্বাধীন ও স্বায়ত্তশাসিত ইউনিট তৈরি করা হতে পারে।

বাধা কি ইঞ্জিন সরবরাহ?

হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ যদিও অভ্যন্তরীণ নয়, বরং সাপ্লাই চেনের। তেজস উৎপাদনের গতি কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ যদিও General Electric (GE)-এর F404 টার্বোফ্যান ইঞ্জিন সরবরাহতে দেরি। এই ধরনের বাধা কাটিয়ে ওঠার জন্যও কাজ করেছে সংস্থাটি।