
নয়াদিল্লি: শুধুই ভোজ্যপণ্য নয়, জীবনের প্রতিটি খাতে জুড়ে যাচ্ছে পতঞ্জলি। সাধারণের কাছে পতঞ্জলি মানেই আয়ুর্বেদিক পণ্যের বাহার। কিন্তু এই সংস্থা নিজেকে শুধুমাত্র ভোজ্যপণ্য বিক্রিতেই সীমিত রাখেনি। চাষবাস, শিক্ষাব্যবস্থা, স্বাস্থ্য প্রতি ক্ষেত্রেই জুড়ে গিয়েছে এই সংস্থার নাম।
এই সংস্থার শুরু হয়েছিল ভারতের বাজারে আয়ুর্বেদিক পণ্য সামগ্রী বিক্রির জন্য। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সেই পতঞ্জলিতেই দেখা গিয়েছে একাধিক পরিবর্তন। লাভ পেরিয়ে সমাজের উন্নয়নে, সমাজের প্রতিটি স্তরের স্বার্থসিদ্ধিতে কাজে নেমেছে এই সংস্থা। হয়ে উঠেছে সমাজের কারিগর।
সম্প্রতি নিজেদের একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেছে পতঞ্জলি। এছাড়াও তৈরি হয়েছে পতঞ্জলি গুরুকূল ও পতঞ্জলি যোগপীঠ। যেখানে একদিকে যেমন পড়ুয়াদের বেদের পাঠ দিচ্ছে এই সংস্থা, তেমনই আবার প্রাচ্য শিক্ষার সঙ্গে দেশের আধুনিক শিক্ষার সঙ্গে তাদের পরিচয় ঘটে, সেই কথা মাথায় রেখে শুরু হয়েছে বিজ্ঞান চর্চা।
এছাড়াও মানুষের স্বাস্থ্যের খোঁজও রাখছে পতঞ্জলি। সাবান, শ্যাম্পু-সহ নানা ভোগ্যপণ্য বিক্রির পাশাপাশি নিজেদের হাসপাতাল ও গবেষণা কেন্দ্র খুলেছে এই সংস্থা। যেখানে এখন চিকিৎসা চলছে বহু মানুষের। তাও আবার আয়ুর্বেদিক উপায়ে। এমনকি, কৃষিক্ষেত্রে ধীরে ধীরে বড় পরিবর্তন আনছে পতঞ্জলি। সাধারণ ভাবেই দেশের অধিকাংশ কৃষক ফসল ফলনের জন্য অনেকাংশেই নানা ধরণের রাসায়নিকের উপর নির্ভরশীল। সেই নির্ভরতা কাটাতেই এবং সবজিপাতিকে হানিকর রাসায়নিক থেকে মুক্ত করতে কৃষিক্ষেত্রে আয়ুর্বেদিক বিপ্লব ঘটাচ্ছে তারা।