
কলকাতা: বৃহস্পতিবার, নিউ ইন্ডিয়া কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। যার জেরে আপাতত সেই ব্যাঙ্কেই আটকা পড়েছে জনসাধারণের কষ্টের উপার্জন। নিজেদের জমা রাখা টাকাও তুলতে পারছেন না তারা। বাধ্য হয়েই ভিড় জমিয়েছেন ব্যাঙ্কের শাখাগুলিতে।
কিন্তু কেন জারি এই নিষেধাজ্ঞা?
জানা গিয়েছে, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ধারণা, সম্ভবত দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে এই ব্যাঙ্ক। তাই আগামী ছয় মাস ব্যাঙ্কের লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে তাদের কার্যকলাপে নজরদারি চালাবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। খতিয়ে দেখা হবে, ব্যাঙ্কের আর্থিক পরিকাঠামোও।
তবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই সিদ্ধান্তের জন্য আপাত রূপে অনেকটাই সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ জনগণ। কষ্টার্জিত উপার্জন ব্যাঙ্কে রেখে এখন তারাই সেই টাকা তুলতে পারছেন না বলেই অভিযোগ। এই পরিস্থিতি একটি প্রশ্ন খুব স্বাভাবিক ব্যাঙ্কে কতটা টাকা পরিমাণ টাকা রাখা নিরাপদ?
এক্ষেত্রে বলা যেতে পারে, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাজ মিটলেই সাধারণের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা তারা করে দেবে। কিন্তু যদি ব্যাঙ্কে ডাকাতির মতো ঘটনা ঘটে, তখন কী হবে? কেই বা ফেরত দেবে সেই টাকা? আর ফেরত দিলেও কত টাকা অবধিই বা ফেরত দেওয়া হবে?
জানা যাচ্ছে, ১৯৬১ সালের ডিপোজিট ইনসোরেন্স ও ক্রেডিট গ্যারান্টি আইনের ১৬ নং ধারা অনুযায়ী, এরকম কোনও দুর্ঘটনায় একটি ব্যাঙ্ক অন্ততপক্ষে পাঁচ লক্ষ টাকা তার উপভোক্তাকে ফেরত দিতেই হবে। অর্থাৎ আপনি যদি ব্যাঙ্কে দশ লক্ষ টাকা রাখেন, সেক্ষেত্রে ব্যাঙ্কে ডাকাতির মতো ঘটনা ঘটলে ৫ লক্ষ টাকা অবধি ফেরত পাবেন আপনি।