Income Tax Return: আয়কর রিটার্ন ফাইল করতে ভুলেছেন? কোন উপায়ে বাঁচাবেন পেনাল্টি!
Income Tax Return File: অনলাইন পোর্টালে বর্তমানে এই সুযোগ মিলছে না। তাই আপনাকে সরাসরি যোগাযোগ করতে হবে আপনার এলাকার প্রিন্সিপাল সিআইটি বা প্রিন্সিপাল কমিশনার অফ ইনকাম ট্যাক্সের সঙ্গে। সেখানে ম্যানুয়াল বা হাতে লেখা আবেদন জমা দিতে হবে।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারেননি? ভাবছেন তো কত টাকা পেনাল্টি দিতে হবে আপনাকে? চিন্তার কিছু নেই, রাস্তা এখনও খোলা। সাধারণত সেকশন ১৩৯(১) বা ১৩৯(৪)-এর সময়সীমা পেরিয়ে গেলেই যাঁরা রিটার্ন ফাইল করেন, তাঁদের কপালে চিন্তার ভাঁজ চওড়া হয়।
দেরি হলে কী করবেন?
যদি কারও ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফাইল করতে দেই হয়, তাহলে তার সামএন ২টো রাস্তা খোলা থাকে। প্রথমত, আপডেটেড রিটার্ন। আর দ্বিতীয়ত, ক্ষমা প্রার্থনা।
- আপডেটেড রিটার্ন: সেকশন ১৩৯(৮এ) মেনে এই আপডেটেড রিটার্ন জমা দেওয়া যায়। কিন্তু সমস্যা একটাই; এতে পকেটে বিরাট কোপ পড়ে। কর ও সুদের উপর ২৫ শতাংশ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত টাকা গুনতে হতে পারে আপনাকে।
- কন্ডোনেশন অফ ডিলে: পকেটের স্বাস্থ্যের জন্য এটিই সেরা উপায়। সেকশন ১১৯(২)(বি)-এর অধীনে দেরি হওয়ার কারণে আপনি ‘ক্ষমা’ চাইতে পারেন অথবা সময়সীমার ছাড় চাইতে পারেন।
কীভাবে আবেদন করবেন?
অনলাইন পোর্টালে বর্তমানে এই সুযোগ মিলছে না। তাই আপনাকে সরাসরি যোগাযোগ করতে হবে আপনার এলাকার প্রিন্সিপাল সিআইটি বা প্রিন্সিপাল কমিশনার অফ ইনকাম ট্যাক্সের সঙ্গে। সেখানে ম্যানুয়াল বা হাতে লেখা আবেদন জমা দিতে হবে।
সঙ্গে কী কী নথিপত্র লাগবে?
দেরি হওয়ার ‘উপযুক্ত কারণ’ ব্যাখ্যা করে একটি চিঠি লিখতে হবে আপনাকে। এ ছাড়া দিতে হবে আপনার আয়ের সংশোধিত হিসাব। এ ছাড়াও দিতে হবে ফর্ম ২৬এএসের রিকনসিলিয়েশন স্টেটমেন্ট। এ ছাড়াও আপনাকে দিতে হবে আপনার খরচের প্রমাণপত্রও।
প্রিন্সিপাল কমিশনার অফ ইনকাম ট্যাক্স যদি মনে করেন আপনার কারণটি ‘জেনুইন’, তাহলে তিনি একটি অর্ডার ইস্যু করবেন। সেই ইউনিক নম্বরটি দিয়েই আপনি পেনাল্টি ছাড়া রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। শুধু তাই নয়, এর মাধ্যমে রিফান্ড ক্লেম বা লস ক্যারি ফরোয়ার্ড করার সুযোগও বজায় থাকে।
