Michael Miebach: ‘ভারতীয়দের বুদ্ধিমত্তা সংক্রমক’ কেন এমন কথা বললেন মাস্টারকার্ডের সিইও মাইকেল?

Michael Miebach: মাস্টারকার্ড-এর গ্লোবাল সিইও মাইকেল মিবাকের তত্ত্বাবধানে স্থাপিত হল এই ফেসিলিটি সেন্টার। সারা বিশ্বে মাস্টারকার্ড-এর সাতটি প্রযুক্তি কেন্দ্রিক গ্লোবাল ফিনটেক ফেসিলিটি সেন্টারের মধ্যে একটি।

Michael Miebach: 'ভারতীয়দের বুদ্ধিমত্তা সংক্রমক' কেন এমন কথা বললেন মাস্টারকার্ডের সিইও মাইকেল?
Image Credit source: Lev Radin/Pacific Press/LightRocket via Getty Images
Follow Us:
| Updated on: Oct 18, 2024 | 7:26 PM

মহারাষ্ট্রের পুনেতে স্থাপিত হল বিশ্বের বৃহত্তম গ্লোবাল ফেসিলিটি সেন্টার। মাস্টারকার্ড-এর গ্লোবাল সিইও মাইকেল মিবাকের তত্ত্বাবধানে স্থাপিত হল এই ফেসিলিটি সেন্টার। সারা বিশ্বে মাস্টারকার্ড-এর সাতটি প্রযুক্তি কেন্দ্রিক গ্লোবাল ফিনটেক ফেসিলিটি সেন্টারের মধ্যে একটি।

সিনএবিসি-টিভি১৮ কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে, মাস্টারকার্ডের গ্লোবাল সিইও মাইকেল মিবাক এই বিষয়ে জানিয়েছন যে তিনি ভারতে ডিজিটাল অর্থনীতির আকারের পরিপ্রেক্ষিতে ক্রেডিট অ্যাক্সেসের পাশাপাশি বাণিজ্যিক অর্থপ্রদানের ক্ষেত্রে বড় সুযোগ দেখছেন। মিবাক আরও বলেন যে ভারতে বাজার সম্প্রসারণের জন্য মাস্টারকার্ড ই-কমার্সের জন্য ‘পাসকি’ ও ‘বায়োমেট্রিক প্রমাণীকরণ’-এর মতো বিষয়গুলিকে ভারতে মূল উদ্ভাবন হিসাবে দেখছেন।

মিবাক জানান মাস্টারকার্ড ভারতে গত পাঁচ বছরে ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে, যার মধ্যে সর্বশেষ টেক হাবটি – ৫ লাখ বর্গ মিটার জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। যাকে মিবাক ‘স্টেট অফ দ্য আর্ট’ বলেছেন।

এই খবরটিও পড়ুন

এমনকি এখানকার কর্মীদের কর্মস্পৃহা নিয়েও উচ্ছসিত মাস্টারকার্ড-এর গ্লোবাল সিইও। তিনি ভারতের বুদ্ধিমত্তার স্তরকে ‘সংক্রামক’ বলেও চিহ্নিত করেছেন, এবং ভারতকে বাকি বিশ্বের থেকে আলাদাও করেছেন।

মাইকেলের বিশ্বাস, ভারতীয় প্রযুক্তি স্ট্যাক ১৪০ কোটি ভারতীয়ের জন্য নানা সুযোগের দরজা খুলে দিয়েছে এবং প্রযুক্তির বাজারে দেশের মধ্যে প্রথম হতে সাহায্য করবে।

মাস্টারকার্ডের টোকেনাইজেশনের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক ডেটা ও পাসওয়ার্ডের মতো নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বদল এনে ‘ফিঙ্গার প্রিন্ট’ বা ‘ফেস স্ক্যান’-এর মতো বিষয়গুলি নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে। ব্যবহারকারীদের বায়োমেট্রিক বিবরণের উপর ভিত্তি করে টোকেনের মাধ্যমে পাসওয়ার্ড প্রতিস্থাপন করার জন্য মাস্টারকার্ড বিশ্বব্যাপী ব্যাঙ্ক এবং অর্থপ্রদান প্রদানকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই পরিবর্তন আনতে সচেষ্ট। ভারতে ‘পেইউ’ এবং অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের সঙ্গে এই বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করতে পারে মাস্টারকার্ড। মিবাক জানান তিনি ভারতের ফিনটেক ইকোসিস্টেমকে খুব শক্তিশালী বলে মনে করেন।

মাস্টারকার্ড ইতিমধ্যেই জানিয়েছে এই দশকের মধ্যেই ইউরোপের সমস্ত ই-কমার্স লেনদেনকে টোকেনাইজ করবে সংস্থা। এই বছরের জুন মাসে, মাস্টারকার্ড জানিয়েছে তাঁদের মোট আয় ৩৩০ কোটি ডলার। গ্লোবাল কার্ড কাউন্ট গত বছরের তুলনায় ৭.২% বেড়ে হয়েছে ৩৪২ কোটি।