
স্বাস্থ্য নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের দ্রুত বিস্তার হচ্ছে। আয়ুর্বেদ ও যোগের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মানুষকে স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন করে চলেছে পতঞ্জলিও। কম্পানিটি জানিয়েছে, যোগগুরু রামদেব এবং আচার্য বালকৃষ্ণের নেতৃত্বে পতঞ্জলি এখন নতুন উচ্চতায় পৌঁছানোর জন্য প্রস্তুত। তাদের লক্ষ্য, ভারতকে আত্মনির্ভর তৈরি করা এবং দেশের সুস্থতা ক্ষেত্রকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরা।
পতঞ্জলির লক্ষ্য হল, প্রতিটি ভারতীয়র বাড়িতে আয়ুর্বেদিক পণ্য পৌঁছে দেওয়া। এবং যোগব্যায়াম এবং প্রাণায়ামকে আধুনিক জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠা নিশ্চিত করা। পতঞ্জলির মতে, তাদের লক্ষ্য পণ্য বিক্রির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং সামগ্রিক স্বাস্থ্য, টেকসই কৃষি এবং ডিজিটাল উদ্ভাবনের উপর জোর দেওয়া। কম্পানির পরবর্তী প্রধান পরিকল্পনা হল ভারত এবং বিদেশে ১০,০০০ সুস্থতা কেন্দ্র স্থাপন করা। যেখানে যোগব্যায়াম, আয়ুর্বেদিক পরামর্শ এবং প্রাকৃতিক চিকিৎসা প্রদান করা হবে। যোগগুরু রামদেবের মতে, এটি বিশ্বব্যাপী যোগব্যায়ামকে জনপ্রিয় করতে সাহায্য করবে।
পতঞ্জলির পরিকল্পনা-
পতঞ্জলির মতে, এই কেন্দ্রগুলি ডিজিটাল অ্যাপ এবং পরিধেয় ডিভাইস ব্যবহার করে ঘরে বসেই মানুষকে তাঁদের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করতে সাহায্য করবে। কোম্পানিটি ২০২৭ সালের মধ্যে তার চারটি কম্পানিকে তালিকাভুক্ত করার পরিকল্পনা করেছে। যার লক্ষ্য ৫ লক্ষ কোটি টাকার বাজার মূলধনে পৌঁছানো। এই পদক্ষেপ স্বাস্থ্য ক্ষেত্রকে নতুন করে উৎসাহিত করবে। কারণ স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের বাজারদর ১০-১৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কম্পানির আরও পরিকল্পনা-
পতঞ্জলির মতে, মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে পতঞ্জলি ২০২৫ সালে ডিজিটাল স্পেসে উল্লেখযোগ্যভাবে মনোনিবেশ করেছে। তরুণদের টার্গেট করে ইউটিউব শর্টস, ইনস্টাগ্রাম রিল এবং ইনফ্লুয়েন্সারদের সহযোগিতার মাধ্যমে প্রচার শুরু করা হয়েছে। আয়ুর্বেদিক স্বাস্থ্য পণ্যের মতো কীওয়ার্ডের সার্চ বাড়ানোর জন্য SEO এবং কন্টেন্ট মার্কেটিং ব্যবহার করা হচ্ছে।
পতঞ্জলি তার কাঁচামাল উৎপাদন এবং পণ্য মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে রাখার জন্য নতুন কারখানা এবং খামারও তৈরি করছে। এটি জৈব খাদ্য, স্বাস্থ্য পরিপূরক এবং ব্যক্তিগত যত্নের পণ্যের পরিসর প্রসারিত করছে। আত্মনির্ভর ভারত মিশনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কৃষকদের ক্ষমতায়ন এবং গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী করতে পদক্ষেপ করছে পতঞ্জলি।
বিশ্বব্যাপী অংশীদারিত্ব এবং গবেষণা সম্প্রসারণ-
পতঞ্জলির দাবি, গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগের ফলে নতুন ভেষজ সূত্র তৈরি হবে, যা মানুষের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান করবে। পতঞ্জলির বিশ্বব্যাপী সম্প্রসারণের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার মতো দেশগুলিতে অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। পরিবেশ-বান্ধব প্যাকেজিং এবং টেকসইয়ের মাধ্যমে পতঞ্জলি একটি পরিবেশ-বান্ধব ব্র্যান্ড হয়ে ওঠার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে।