নয়া দিল্লি: ভারতীয়দের বিয়ের বাহুল্য বরাবরই বেশি। শুধুমাত্র রীতি বা নিয়ম নয়, জাঁকজমকও থাকে চোখে পড়ার মতো। অর্থনৈতিক অবস্থা যাই হোক না কেন, প্রায় প্রত্যেক পরিবারই ব্য়বস্থায় কোনও অভাব রাখে না। বিয়ে মানেই দামী গয়না, মেনুতে মাছ-মাংস, মিষ্টির বিপুল আয়োজন। বিয়ের খরচের জন্য আলাদাভাবে টাকা জমিয়ে রাখতে বিশ্বাসী অনেক পরিবারই। তবে মূল্যবৃদ্ধির বাজারে সেই খরচ সামাল দেওয়াটাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষত ডেস্টিনেশন ওয়েডিং বা থিম ওয়েডিং-এর সৌজন্যে সেই খরচ বেড়েছে আরও। তবে বাবা-মায়ের ওপর থেকে যদি খরচের বোঝা কমাতে চান, তারও একাধিক উপায় আছে।
টাকা যদি বেশি জমানো না থাকে, আর বিয়ের অনুষ্ঠান যদি জাঁকজমক করে করার ইচ্ছা থাকে তাহলে ঋণ নেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। আর বিয়ের লোন বা ঋণ দেওয়ার জন্য ব্যাঙ্ক বা অন্যান্য সংস্থাগুলি প্রস্তুত আছে। সেই ঋণ নিয়ে যত খুশি খরচ করে বিয়ে করা সম্ভব। তবে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, এমন ঋণ না নেওয়াই ভাল।
ম্যারেজ লোন বা বিয়ের জন্য ঋণ আসলে পার্সোনাল লোনের মতোই। ফলে সুদের হারও বেশি থাকে। অর্থাৎ বিয়ের যা খরচ হবে, তার থেকে অনেক বেশি টাকা ফেরত দিতে হবে ঋণপ্রদানকারী সংস্থা বা ব্যাঙ্ককে। শুধুমাত্র সামাজিকতার কথা ভেবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সুতরাং বিয়ের খরচ সামাল দেওয়ার জন্য দুটো উপায়ই সবথেকে ভাল। এক- কম বয়স থেকে টাকা জমানো শুরু করুন, যাতে বিয়ের সময় টাকার কথা ভাবতে না হয়। আর দ্বিতীয়টি হল, খরচ কমানো। টাকা যদি বেশি জমানো না থাকে, তাহলে বিয়ের খরচও ক্ষমতা অনুযায়ী কমিয়ে ফেলাই ভাল।