
নয়াদিল্লি: সম্প্রতি ৪৬ বছর পর রত্নভাণ্ডারের দ্বার খুলেছে পুরীর মন্দির। যা থেকে বহু মূল্যবান রত্ন ও গহনা উদ্ধারের খবর ইতিমধ্যেই প্রকাশ্য়ে এসেছে। অবশ্য পুরীর মন্দির কর্তৃপক্ষ সে নিয়ে বিশেষ কিছু বলেনি। কিন্তু এত রত্ন, গহনার প্রকৃত মূল্যই বা কত সেই ধন্দে পড়েছে মন্দির কমিটি। যা মেটাতে পুরীতে যেতে চলেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের একটি প্রতিনিধি দল।
পুরীর রত্নভান্ডার থেকে উদ্ধার হওয়া সামগ্রীর মূল্য কত? বর্তমান বাজার দর মিলিয়ে মোট কত টাকার সম্পত্তি উদ্ধার হল সেখান থেকে? পুরীর মন্দির কমিটি সেই হিসাব কষে দিতেই সেখানে যাবে ওই প্রতিনিধি দল। ইতিমধ্য়েই দুই কর্মীর কাঁধেই এই কাজের ভার দিয়েছে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক।
ওড়িশার আইন মন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন বলেন, “আমাদের অনুরোধেই ওই দু’জন কর্মীকে এই কাজের জন্য পাঠাতে রাজি হয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। প্রথমে উদ্ধার হওয়া রত্ন ও গহনাগুলিকে রত্ন ভান্ডারেরই একটি গোপন ঘরে সরানো হবে। তারপর আমরা রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে হিসাবের জন্য একটি দিনক্ষণ বাছাইয়ের আর্জি জানাব।”
এই রত্নভান্ডারে সাধারণ ভাবেই জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার নানা গহনা ও রত্ন রাখা হয়ে থাকে। শতবর্ষ ধরেই এই সামগ্রীগুলিকে এখানে সংরক্ষণ করা হয়েছে। শেষবার রত্নভান্ডার তহবিলের হিসাব করা হয়েছিল ১৯৭৮ সালে। এরপর আবার চলতি বছর। মাঝে কেটে গিয়েছে, ৪৭টা বছর।