
নয়াদিল্লি: এই সংস্থার সবচেয়ে সাশ্রয়ী গাড়ির দামও ১০ কোটির অধিক। সবচেয়ে দামি কিনতে গেলে ২০০-২৫০ কোটি টাকার ব্য়াপার। সাধারণ তো নয়ই, সমাজের অভিজাত ব্যক্তিদেরও হোঁচট খেতে হবে এই পরিমাণ দাম দিতে গেলে। সেই সংস্থাই এবার বলছে, ভারত হবে তাঁদের ‘তৃতীয় বাড়ি’।
সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকারে রলস রয়েস ইন্ডিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট শশী মুকুন্দ জানিয়েছেন, দেশের মধ্য়ে বড় মাপের বিনিয়োগের কথা ভাবছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। আরও বেশি টাকা খরচ করে নির্মাণকাজ বৃদ্ধি করবে তাঁরা। সেই মর্মে একটি রূপরেখাও তৈরি হয়ে গিয়েছে। সংস্থার ভারতীয় কর্তার কথায়, ‘নয়াদিল্লির হাতে শক্তি তুলে দিতেই এই বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে সংস্থা। যার মূল অগ্রাধিকার হবে অ্য়ারো-ইঞ্জিন বা জেট ইঞ্জিন তৈরিতে গুরুত্ব দেওয়া।’
বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানিতে নিজেদের বাজার গড়ে তুলেছে এই ব্রিটিশ সংস্থা। কিন্তু আগামী দিনে ভারতকে নিজেদের ‘তৃতীয় গৃহ’ হিসাবে তৈরি করতে আগ্রহী রলস রয়েস। তবে আচমকা এই বিনিয়োগ বাড়ানোর ভাবনাচিন্তা কেন? জানা গিয়েছে, সাম্প্রতিককালে প্রতিরক্ষা খাতে ভারতের বিনিয়োগ বৃদ্ধির ঘটনাই টেনে আনছে রলস রয়েসকে। মানি কন্ট্রোলের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরির কাজে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা পত্র স্বাক্ষর করতে চলেছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। যার মধ্যে একটি সমঝোতা পত্রের আওতায় অর্জুন ট্যাঙ্কের জন্য ইঞ্জিন তৈরি হবে। অন্যটির আওতায় ইঞ্জিন তৈরি হবে আগামী সামরিক যানের জন্য।
এদিন শশী মুকুন্দ বলেন, ‘এখনও আলোচনা চলছে। কোনও কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। তবে এটা বলতেই পারি, ভারত যদি মনে করে যুদ্ধযানে আরও উন্নতমানের ইঞ্জিন ব্যবহার করবে, সেক্ষেত্রে রলস রয়েস নয়াদিল্লির সবচেয়ে ভাল সঙ্গী হবে। আমরা যে এই বিকাশ ঘটাতে পারি, তা আমরা বারে বারে প্রমাণ করেছি।’