Diabetes Medicine Price: এবার লজেন্সের দরে মিলবে সুগারের ওষুধ! কবে থেকে কমছে দাম, জানেন কি?

Diabetes Medicine Price: উল্লেখ্য, ভারতের ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে বেশিরভাগটাই টাইপ-২ ডায়াবেটিক। যার ওষুধ বাবদ রোগীদের গড়ে প্রতি মাসে খরচ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকার মধ্যে।

Diabetes Medicine Price: এবার লজেন্সের দরে মিলবে সুগারের ওষুধ! কবে থেকে কমছে দাম, জানেন কি?
প্রতীকী ছবিImage Credit source: Getty Image

|

Mar 10, 2025 | 3:19 PM

নয়াদিল্লি: বিশ্বের অন্যতম স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞান ম্যাগাজিন ল্যানসেটের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ডায়াবেটিস রোগীর নিরিখে ‘এগিয়ে’ ভারত। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর হদিশ মেলে এই দেশেই।

সেই সমীক্ষা অনুযায়ী, দেশের মোট জনসংখ্য়ার ২৩ শতাংশই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। যার মধ্যে আবার ৬২ শতাংশের অধিক রোগী, কোনও রকম চিকিৎসাই করান না। স্থানীয় ওষুধের দোকান থেকে ওষুধ কিনে ডায়াবেটিসের সঙ্গে মোকাবিলার ব্যর্থ চেষ্টা চালান তারা।

এই রিপোর্টের ভিত্তিতে বলা যেতেই পারে, এখন প্রায় ঘরে ঘরেই ডায়াবেটিস রোগী। যার জেরে বেড়েছে ওষুধ খরচও। বর্তমানে ভারতে ডায়াবেটিস ওষুধের বাজার মূলধন প্রায় ১৭ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। গত ১০ বছরে এই রোগের ওষুধের দামও বেড়েছে ১০৫ শতাংশের উপর।

উল্লেখ্য, ভারতের ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে বেশিরভাগটাই টাইপ-২ ডায়াবেটিক। যার ওষুধ বাবদ রোগীদের গড়ে প্রতি মাসে খরচ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকার মধ্যে। এক একটি ওষুধ কিনতেই বেরিয়ে যায় ৫০ থেকে ৬০ টাকা। ওষুধের গোটা পাতা নিতে গেলে খরচ পড়ে যায় প্রায় ৫০০ টাকার কাছাকাছি।

এই টাইপ-২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে এমপাগ্লিফ্লোজিন নামে এক ধরণের বিশেষ ঔষধী দ্রব্য ব্যবহার করে থাকে ডায়াবেটিস ওষুধ প্রস্তুতকারী জার্মান সংস্থা ‘ইনোভেটর’। কিন্তু এত দিন এই এমপাগ্লিফ্লোজিন তৈরির পেটেন্ট বা স্বত্ব একমাত্র এই জার্মান কোম্পানির হাতেই ছিল। যার মেয়াদ আগামী ১১ই মার্চের পর শেষ হয়ে যাচ্ছে বলেই খবর।

যার জেরে এবার যে কোনও সংস্থাই এই দ্রব্যের মাধ্যমে ডায়াবেটিস টাইপ-২ ওষুধ তৈরি করতে পারবে। এই আবহেই আবার দেশের অন্যতম ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা ম্যান কাইন্ড জানিয়েছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ওই জার্মান কোম্পানির দশ শতাংশ দামে বাজারে ডায়াবেটিস ওষুধ আনতে চলেছেন তারা। যার জেরে ওই জার্মান কোম্পানির ওষুধ যা বাজার ৬০ টাকা প্রতি ট্যাবলেট বিক্রি হত, তা এবার ৯ থেকে ১০ টাকা বিক্রি হতে পারে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।