
নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রীর চার দিনের সফরের আজ অর্থাৎ শনিবার তৃতীয় দিন। ইতিমধ্য়েই ব্রিটেন পেরিয়ে মলদ্বীপে পৌঁছেছেন মোদী। সেখানকার প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর সঙ্গে হয়ে গিয়েছে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। তবে মুইজ্জুর আগেও ব্রিটেনে মুক্ত বাণিজ্যের বার্তা দিয়ে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী।
ট্রাম্পের শুল্ক-যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই মুক্ত বাণিজ্যের দিকে ঝোঁক বাড়িয়েছে নয়াদিল্লি। মাস কতক আগেই ইউরোপের অন্যান্য প্রতিনিধিদের সঙ্গেও এই নিয়ে এক দফা আলোচনা চলেছিল। বৃহস্পতির বৈঠকেও সেই প্রসঙ্গটাই বজায় থাকল। যার সূত্র ধরে স্বাক্ষর হল বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক চুক্তি।
এই ভারত-ব্রিটেন বাণিজ্যিক মুক্তাঞ্চল তৈরিতে আগ্রহী দুই দেশ। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘এই মুক্তাঞ্চলের ফলে দুই দেশের মধ্যে বাড়তি ব্যবসায়িক খরচ কমবে। যার জেরে ব্যবসা সুবৃ্দ্ধি হবে।’ এছাড়াও ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, এই মুক্তাঞ্চল চুক্তি ভারতের গ্রাহকদের কাছে ব্রিটেনের পণ্য বাজারের দ্বারও খুলে দেবে।
তবে শুধুই গ্রাহকদের ফায়দা নয়। ভারত-ব্রিটেন বাণিজ্যিক চুক্তি লাভ দেবে শিক্ষাক্ষেত্রেও। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে শিক্ষায় জোট গড়া নিয়ে আলোচনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের কাছে ভারতে আরও ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার প্রস্তাব রাখেন। বলে রাখা ভাল, চলতি মাসেই গুরুগ্রামে ব্রিটেনের সাউথঅ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয় নিজের ক্যাম্পাস গড়ে তুলেছে। স্টার্মার সঙ্গে বৈঠকে সেই কথাটাও স্মরণ করেন মোদী।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নতুন বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির প্রস্তাব কিন্তু ফেলে দেননি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। নয়াদিল্লি সূত্রে খবর, স্বাক্ষরিত চুক্তিপত্রে বলা হয়েছে, খুব শীঘ্রই ভারতে নতুন আরও ছয়টি ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস তৈরি হতে চলেছে। দিনশেষে যার লাভ পাবে এ দেশের পড়ুয়ারাই। লক্ষ টাকা খরচ করে যেতে হবে না বিদেশের মাটিতে।