নয়াদিল্লি: দেশে আগের তুলনায় অনেকটা বেড়েছে UPSC বা সিভিল সার্ভিসের পরীক্ষায় বসার হিড়িক। সম্প্রতি প্রকাশিত ‘১২ ফেল’ বা ‘অ্যাসপিরেন্ট’-এর মতো সিনেমা-ওয়েবসিরিজের হাত ধরেই সিভিল সার্ভিসের পরীক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে যুব-প্রজন্মের, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহল। কেউ সফল হচ্ছে, কেউ আবার হারিয়ে ফেলছে নিজের জীবনের বেশ কয়েকটা বছর।
সম্প্রতি, UPSC পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নেটিজেনদের নজর কেড়েছেন এক যুবতী। নিজের মেধা ও পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে নিজের জন্য খুলে ফেলেছেন দেশের সবচেয়ে কঠিনতম পরীক্ষার দুয়ার। পদ পেয়েছেন IFS অফিসারের।
মডেলিং থেকে কূটনীতিক
নাম ঐশ্বর্য সোরেন। জন্ম রাজস্থানের সেনা পরিবারে। বাবা ভারতীয় সেনার একজন উচ্চপদস্থ কর্মী। ছোট থেকেই পড়াশোনায় তুখোড় ছিল সে। উচ্চমাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন বিরাট অঙ্কের মার্জিনে।
পরবর্তীতে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস করেন তিনি। এই সময়কালে মডেলিংয়ের দিকে ঝোঁক বাড়ে তাঁর। মন খোঁজে লাইমলাইট। আলো-ক্যামেরার মাঝেই যেন নিজেকে খুঁজে পেতে শুরু করেন ঐশ্বর্য। অংশগ্রহণ করতে শুরু করেন একাধিক মডেলিং প্রতিযোগিতায়। যোগ দিয়েছিলেন ২০১৪ সালে মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতাতেও। কিন্তু মেলেনি সাফল্য়।
তবে হাল ছাড়েননি তিনি। মডেলিংকেই নিজের কর্মজীবন হিসাবে বেছে নেন তিনি। ২০১৬ সালে ফের একবার অংশগ্রহণ করেন মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায়। কিন্তু ফাইনাল রাউন্ডে গিয়ে হেরে যান তিনি। খানিকটা বিষাদ গ্রাস করে তাঁকে। তবে হেরে যাননি। উল্টে বড় বদল আনেন জীবনে।
নেমে পড়েন সিভিল সার্ভিসের পড়াশোনায়। ২০১৮ সালে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের ইন্দোর শাখায় ভর্তি হন তিনি। সেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি চালিয়ে যান UPSC-এর যাবতীয় পড়াশোনাও। টানা দশ মাস এক টানা কঠোর পরিশ্রম। প্রথমবারেই মেলে সাফল্য। এক কালের মিস ইন্ডিয়ার ফাইনালিস্ট উত্তীর্ণ হন দেশের সবচেয়ে কঠিনতম পরীক্ষায়। যোগ দেন বিদেশমন্ত্রকে।