SIR in Bengal: কার ভুলে তৃণমূল কাউন্সিলরকে মৃত দেখানো হল? রিপোর্ট চাইল কমিশন
TMC councilor's name not in draft list: দলের কাউন্সিলরকে খসড়া ভোটার তালিকায় মৃত দেখানো নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, "ডানকুনি পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সূর্য দে চণ্ডীতলা বিধানসভা কেন্দ্রের বাসিন্দা। তাঁর ক্রমিক নম্বর ৪০, বুথ নম্বর ২২৬। মঙ্গলবার ভোটার তালিকা অনুযায়ী তিনি মৃত। এটা SIR না ফাজলামি হচ্ছে?"

কলকাতা: জলজ্যান্ত তৃণমূল কাউন্সিলরকেই খসড়া ভোটার তালিকায় মৃত দেখানো হয়েছে। তা নিয়ে শুরু হয়েছে শোরগোল। কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। এবার এই নিয়ে তৎপর হল নির্বাচন কমিশন। হুগলির ডানকুনির তৃণমূল কাউন্সিলরকে মৃত দেখানো নিয়ে জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট চাইলেন রাজ্য়ের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। কার ভুলে ওই তৃণমূল কাউন্সিলরকে খসড়া ভোটার তালিকায় মৃত দেখানো হল, তা নিয়ে রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, নাম বাদের আগে বিএলএ-র বৈঠক করেন বিএলও-দের সঙ্গে। সেইসময় তৃণমূল কাউন্সিলর সূর্য দের নাম বাদ যায়নি বলে সূত্রের খবর। এরপর বিএলও যখন নাম তোলেন, তখন সূর্য দের নাম মৃত হিসেবে দেখানো হয়। কীভাবে এই ভুল হল, সেটাই জানতে চাইছে কমিশন।
২ মাসে এইআইআর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা নিয়ে প্রথম থেকেই সরব তৃণমূল। কোনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ গেলে আন্দোলন হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দলেরই কাউন্সিলরকে খসড়া ভোটার তালিকায় মৃত দেখানো নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, “ডানকুনি পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সূর্য দে চণ্ডীতলা বিধানসভা কেন্দ্রের বাসিন্দা। তাঁর ক্রমিক নম্বর ৪০, বুথ নম্বর ২২৬। মঙ্গলবার ভোটার তালিকা অনুযায়ী তিনি মৃত। এটা SIR না ফাজলামি হচ্ছে?”
এই নিয়ে কমিশনকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল কাউন্সিলর সূর্য দে-ও। শ্মশানেও চলে আসেন তিনি। বলেন, “নিজেই হেঁটে আসলাম, নিজের সৎকারের জন্য। আমি একজন জনপ্রতিনিধি। আমাকে দেখানো হচ্ছে আমি মৃত। তীব্র নিন্দা করছি। আমি এখন শ্মশানে এসেছি। নির্বাচন কমিশনের যাঁরা আধিকারিক রয়েছেন, তাঁদের আবেদন করব, আমাকে এসে চুল্লিতে পুড়িয়ে দিন।”
ওই বুথের বিএলও কুশ হাজরা বলেন, “টেকনিক্যাল সমস্যার জন্য হয়ে থাকতে পারে। মৃতদের তালিকায় ২১ জনের নাম ছিল। সেখানে সূর্য দের নাম কোনওভাবেই ছিল না। মৃত তালিকায় উনি কোনওভাবেই ছিলেন না। তবে এখনও সংশোধন করা যাবে।”
