Tripura election results 2023: ত্রিপুরায় কি ফের ‘মানিক সরকার’? নাকি বদলাবে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ?

Tripura election results 2023: বৃহস্পতিবার (২ মার্চ), ৬০ আসনের ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে ৩৩টি আসন জয় পেয়ে সরকার গঠন করা নিশ্চিত করেছে বিজেপি - আইপিএফটি জোট। সরকার গঠন নিশ্চিত হয়ে যেতেই প্রশ্ন উঠছে কে হবেন পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী?

Tripura election results 2023: ত্রিপুরায় কি ফের 'মানিক সরকার'? নাকি বদলাবে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ?
জয় নিশ্চিত হতে আনন্দে মেতেছেন মানিক সরকার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 02, 2023 | 9:56 PM

আগরতলা: বৃহস্পতিবার (২ মার্চ), ৬০ আসনের ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে ৩৩টি আসন জয় পেয়ে সরকার গঠন করা নিশ্চিত করেছে বিজেপি – আইপিএফটি জোট। সরকার গঠন নিশ্চিত হয়ে যেতেই প্রশ্ন উঠছে কে হবেন পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী? ২০১৮ সালের নির্বাচন বিপ্লব দেবকে সামনে রেখে লড়েছিল বিজেপি। পালা বদলের পর বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন বিপ্লব দেবই। কিন্তু, প্রথম থেকেই তাঁর বিভিন্ন আলপটকা মন্তব্য এবং পদক্ষেপের জেরে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। ২০২২ সালে বিপ্লব দেবকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী করা হয় চিকিৎসক নেতা মানিক সাহাকে। তিনিই কি দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসবেন? না কি তাঁর বদলে অন্য কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করবে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব?

বস্তুত, যে সময় বিপ্লব দেবকে সরিয়ে মানিক সাহাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছিল, সেই সময় বিজেপির হাতে আরও এক উপযুক্ত মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ছিলেন। তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক। চলতি নির্বাচনেও প্রতিমা ভৌমিককে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। ধানপুর কেন্দ্র থেকে জয়ীও হয়েছেন তিনি। তাহলে কি এবার আরও একবার নয়া মুখ্যমন্ত্রী পেতে পারে ত্রিপুরা? বিজেপি যখন ডা. মানিক সাহাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মনোনীত করেছিল, সেই সময় এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিজেপির ত্রিপুরা শাখার মধ্যে বেশ কিছু মন্ত্রী, বিধায়ক এবং পদস্থ নেতাদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল। দলের অন্দরে শীর্ষ নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।

সেই বিতর্কের আঁচ কিন্তু এখনও পুরোপুরি নিভে যায়নি। তবে, যে ১০ মাস সময় হাতে পেয়েছিলেন, সেই ১০ মাসেই রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তির প্রভূত বদল ঘটিয়েছেন মানিক সাহা। গত জানুয়ারিতে পিটিআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মানিক সাহাও বলেছিলেন, মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই তিনি জনগণের আস্থা অর্জন করতে পেরেছেন। যার ফল এদিনের এই নির্বাচনী সাফল্য, এমনটাই মত একাংশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

বিজেপির অন্দরমহল সূত্রে জানা যাচ্ছে সেই সম্ভাবনা বেশ কম। ২০১৬ সালে কংগ্রেস ছেড়ে পদ্ম শিবিরে ভিড়েছিলেন মানিক সাহা। তারপর থেকে তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারের রেখ ক্রমেই ঊর্ধ্বগামী হয়েছে। ২০২০ সালে তাঁকে রাজ্য বিজেপির সভাপতি করা হয়েছিল। তারপর ২০২২-এ আসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীত্বের ভার। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করেছিলেন চলতি নির্বাচনে তাঁর জয় পাওয়া বেশ কঠিন হবে। টাউন বড়দোয়ালি আসনে তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ছিলেন বর্ষিয়ান কংগ্রেস নেতা আশীষ কুমার সাহা। পুরোনো সতীর্থকে অবশ্য ১২৫৭ ভোটের সহজ ব্যবধানে পরাজিত করেছেন তিনি।

ইন্ডিয়া টুডে – অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়ার বুথ ফেরত সমীক্ষায় ২৭ শতাংশ ভোটদাতা জানিয়েছিলেন, রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মানিক সাহাকেই ফের দেখতে চান তাঁরা। মাত্র ৩ শতাংশ জানিয়েছিলেন, তাঁরা চান বিপ্লব দেবকে ফের মুখ্যমন্ত্রীর পদে ফেরানো হোক। আর ১৪ শতাংশ ভোটদাতা বলেছিলেন, তাঁরা বিজেপির কোনও নেতাকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চান, তবে মানিক বা বিপ্লবকে এই পদে দেখতে চান না। কাজেই, মুখ্যমন্ত্রী পদে দ্বিতীয় মেয়াদে আসীন হওয়ার বিষয়ে অনেকটাই এগিয়ে আছেন মানিক সাহা।