Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘ন্যাকা কান্না’ পছন্দ নয় মমতার, নিদান দিলেন ‘পাড়ার ঝগড়ুটে মহিলাদের এজেন্ট করে দাও’

দ্বিতীয় দফায় নন্দীগ্রামে (Nandigram) ভোট চলাকালীন, বয়ালের ৭ নম্বর বুথ অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। তৃণমূলের অভিযোগ, সেখানে তাদের এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি।

'ন্যাকা কান্না' পছন্দ নয় মমতার, নিদান দিলেন 'পাড়ার ঝগড়ুটে মহিলাদের এজেন্ট করে দাও'
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Apr 04, 2021 | 6:05 PM

খানাকুল: ভোটের ময়দানে প্রতিপক্ষের সঙ্গে যুঝতে ‘পাড়ার ঝগড়ুটে মহিলা’দের এগিয়ে আসার আহ্বান জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খানাকুলে ভোট প্রচারে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাওয়াই, পুলিশ কিংবা কেন্দ্রীয় বাহিনীর ‘চালাকি’ রুখতে ঝগড়ায় ভাল দখল আছে এমন মহিলাদের এজেন্ট করা হোক।

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যদি চার বার মেশিন খারাপ হয়, পাঁচ বারের বার গিয়ে ভোটটা দিয়ে আসবেন। এটা ওদের চালাকি, মেশিন খারাপ করে দেবে। এজেন্টরা কেউ বিক্রি হওয়ার চেষ্টা করবেন না। আমি হাতেনাতে ধরে ফেলব। যতক্ষণ বাক্স সিল না হচ্ছে, কেউ বেরোবেন না। বিজেপি মারছে, এইসব ন্যাকা কান্না আমি সহ্য করব না। যার যার সাহস নেই, বুথে এজেন্ট হয়ে বসবেন না। তার থেকে আমি আমার এক কন্যাশ্রীকে বুথে বসাব। তারা অনেক স্ট্রং।”

দ্বিতীয় দফায় নন্দীগ্রামে ভোট চলাকালীন, বয়ালের ৭ নম্বর বুথ অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। তৃণমূলের অভিযোগ, সেখানে তাদের এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি। বয়াল মকতব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃণমূল যাঁকে এজেন্ট করে, তিনি সেদিন বুথমুখোই হননি। এমনকী সেই এজেন্টের বাড়িতে গিয়েও তাঁকে বুথে আনতে পারেনি কমিশন। পুলিশের আশ্বাসেও ছেলেকে ছাড়তে রাজি হননি ওই এজেন্টের মা। তাঁর দাবি ছিল, ভোট মিটে গেলে সকলে চলে যাবে, তাঁকে পরিবার নিয়ে গ্রামেই থাকতে হবে।

আরও পড়ুন: বড় বড় গোঁফওয়ালা কম্যান্ডো আমাকে বলল ‘ইধর সে হটো’, আমিও বললাম, ইয়ে কউন হ্যয় রে? মমতা

এদিন মমতা বলেন, “ভোটকেন্দ্রের ভিতর কারও গায়ে হাত দেওয়ার অধিকার নেই। পুলিশ আগে বুথে ঢুকে যাচ্ছিল। কমিশন এখন বলে দিয়েছে। বুথের ভিতর সেন্ট্রাল পুলিশও কারও আইডি প্রুফ চেক করতে পারে না। এটা লিখিত অর্ডার এসেছে। কোনও একটা ওয়ারেন্ট এসেছে, কারও বাড়িতে তল্লাশিতে যাবেন, যান না। এখানে ওখানে গিয়ে ঘুরে বেড়ান না। ঠিক টাইমে এসে ভোট করাবেন। একটু বুদ্ধি খরচ করতে লাগে।” এরপরই পরিস্থিতি কী ভাবে নিজেদের দখলে রাখতে হয় তা বোঝাতে গিয়ে মমতার কৌশল, “পাড়ার যারা ঝগড়ুটে মহিলা, তাঁদের এজেন্ট করে দাও।”