১০ জন লাশের আত্মা ঘুরে বেড়াচ্ছে, হলদিয়া গেস্ট হাউজে কেমন একটা মনে হয়েছিল মমতার
ভাবতে ভাবতেই সেদিন হঠাৎ 'ধপাস' করে পড়ে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
নন্দীগ্রাম: জনসভা থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিজের বহু পুরনো অভিজ্ঞতার কথা শুনিয়েছেন অতীতে। তবে ইদানিং ভোটের প্রচারে বেরিয়ে বিরোধীদের বেলাগাম আক্রমণ ছাড়া সেভাবে কিছুই বলতে শোনা যায় না তাঁকে। খুব স্বাভাবিকভাবেই, ভোটের প্রচার কে আর কবে গরম ছাড়া নরমে সেরেছে। তবে সোমবার নন্দীগ্রামের আমদাবাদ হাইস্কুল গ্রাউন্ডের জনসভায় এক অন্য অভিজ্ঞতা শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী। কোনও বাধা আসলে তার আগে তিনি তা বুঝতে পারেন বলেও এদিন দাবি করেন তৃণমূলনেত্রী।
এদিন মমতা বলেন, “১৪ মার্চ গুলি চলল। সূর্যোদয় হল। কত আন্দোলন, কত কী বয়ে গেল। হলদি নদীতে এখনও রক্তের দাগ লেগে আছে মনে হয়। জানেন তো একবার হলদিয়ায় গিয়ে, হলদিয়ার ওই গেস্ট হাউজে ছিলাম। সামনে হলদি নদী। কেন জানি না, বিশ্বাস করুন, আমার একটা এরকম হয়। আমার যদি কোথাও গিয়ে মনে হয় কোনও একটা ব্যাপার আছে। আমাকে বাধায় পড়তে হবেই। আমার ওখানে ঢুকেই মনে হল, এখানে তো ১০ জনের লাশ আছে। আজও খুঁজে পাওয়া যায়নি। আরও কত দেহ নিখোঁজ। নিশ্চয়ই ওদের আত্মা এখানে ওখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিশ্বাস করুন, আমি নন্দীগ্রামের এসব ভাবছি।”
আরও পড়ুন: ‘তুই আমার পা জখম করিয়েছিস’, নন্দীগ্রামে গিয়ে বিস্ফোরক মমতা
ভাবতে ভাবতেই সেদিন হঠাৎ ‘ধপাস’ করে পড়ে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “হয়তো সেদিন পড়ে আমার মাথা ফেটে যেতে পারত। কিন্তু কিছু হল না। বেঁচে গেলাম। তবে মনে একটা ধাক্কা দিয়ে গেল। আমি ওখানে আর যাই না। কেন যাই না বলুন তো? আমার মনে হয় লোকগুলো বিচার পায়নি। মানুষগুলো দুঃখে আছে। ওদের আত্মা ঘুরে বেড়াচ্ছে।”