কলকাতা: আদালতের নির্দেশেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে ভোট হচ্ছে রাজ্যে। হাইকোর্টের প্রস্তাব ছিল, প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক। কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশ সমান অনুপাতে মোতায়েন করার কথাও বলা হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী আদৌ থাকবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে। শনিবারই একদফায় ভোটগ্রহণ হবে রাজ্যে। তার আগে শুক্রবার নতুন নির্দেশিকা জারি করে জানানো হল কোন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে কতজন জওয়ান মোতায়েন থাকবেন। আধা সেকশন বাহিনী অর্থাৎ অন্তত ৪ জন জওয়ান মোতায়েন করতেই হবে প্রতিটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে। বৃহস্পতিবার রাতে কমিশনে গিয়ে স্পর্শকাতর বুথের তালিকা সংগ্রহ করেছেন আইজি বিএসএফ।
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের জন্য মোট ৬১ হাজার ৬৩৬টি বুথ রয়েছে। প্রত্যেক বুথে একজন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান এবং একজন করে রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র কর্মী মোতায়েন করা হবে, এমনই পরিকল্পনা ছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু প্রতি বুথে আধা সেকশনের কম বাহিনী মোতায়েন করার নিয়ম নেই। নতুন নির্দেশিকাতেও দেখা যাচ্ছে, ন্যুনতম আধা সেকশন বাহিনী মোতায়েন করার কথা বলা হয়েছে।
নির্দেশিকা অনুযায়ী, একটি বুথ আছে, এমন কেন্দ্রে আধা সেকশন বা ৪ জওয়ান থাকবেন, দুটি বুথ আছে, এমন কেন্দ্রে থাকবেন ৬ জওয়ান। ৩ বা ৪টি বুথ বিশিষ্টকেন্দ্রে ১ সেকশন অর্থাৎ ৮ জন জওয়ান মোতায়েন করার কথা বলা হয়েছে। ৫ বা ৬টি বুথ থাকলে এক ও আধা সেকশন অর্থাৎ ১২ জন জওয়ান, ৭-এর বেশি বুথ থাকলে ১৬ জন জওয়ান মোতায়েন থাকবে বলে জানানো হয়েছে। আর স্ট্রং রুমের নিরাপত্তায় থাকবে ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
রাজ্যে যে পরিমান বাহিনী এসেছে, তাতে সব বুথে এই নিয়ম মেনে মোতায়েন করা সম্ভব কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের জন্য ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রের কাছে। প্রথম দফায় রাজ্যে আসে ২২ কোম্পানি ও পরে ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী এসেছে রাজ্যে। সূত্রের খবর, সব বুথে বাহিনী মোতায়েন করা সম্ভব না হলে স্পর্শকাতর বুথগুলিকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।