মালদা: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে ফের বেকায়দায় ঘাসফুল শিবির (Trinamool Congress)। দলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে তৃণমূল ছাড়লেন জেলার একাধিক তাবড় তাবড় নেতা। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে সংখ্যালঘু সেলের জেলা সভাপতি-সহ বহু পদাধিকারী গণইস্তফা দিয়েছিলেন। তবে দল ছেড়ে যাননি। কিন্তু, এবার দেখা গেল অন্য ছবি। দলত্য়াগ করলেন সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান সহ একাধিক পদাধিকারী। তৃণমূল ছাড়লেন তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের মালদহ জেলার চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম। কালিয়াচক ২ নম্বর ব্লকের মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মীনাক্ষী মণ্ডল। তালিকায় রয়েছেন মালদহ জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সম্পাদক হায়দার আলি বিশ্বাস, বুথ প্রেসিডেন্ট সোহেল রানাও।
তাঁদের দলত্যাগ নিয়ে বর্তমানে জোর চর্চা চলছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। যদিও শাসকদলের বর্তমান জেলা সভাপতির দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের টিকিট দেওয়া হয়নি বলেই এই নেতারা দল ছেড়েছেন। তবে দলত্য়াগীরা প্রত্য়েকেই সুর চড়িয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা মোথাবাড়ির বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে। তাঁদের অভিযোগ, দলের মধ্য়ে একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন সাবিনা ইয়াসমিন। তাই সাবিনার সঙ্গে তাঁরা আর দলে থেকে কাজ করতে পারছেন না। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই বর্তমানে জোর শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের মালদহ জেলার চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামকে সাবিনা ইসানমিনের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগতে দেখা যায়। মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, “আমাদের কালিয়াচক-২ ব্লকে সাবিনা ইয়াসমিনের অত্যাচারে প্রাক্তন ব্লক সভাপতি বেরিয়ে গিয়েছেন। আগেও অনেকে পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। যুব প্রেসিডেন্টকে উনি ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন। তারপর এমন একজনকে ব্লক প্রেসিডেন্ট করলেন যে গোটা এলাকায় তোলাবাজিতে যুক্ত। আমাদের মূল অভিযোগ সাবিনা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে। উনি মন্ত্রী হওয়ার পর জেলার জন্য কিছুই করেননি। পঞ্চায়েত ভোটের টিকিটের সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই। দল যাঁকে মনে করেছে তাঁকে প্রার্থী করেছে। এতে আমাদের কিছু বলার নেই। তবে তৃণমূলে এখন চারপাশে যা দেখছি তা আর সহ্য করতে পারছি না। তাই সিদ্ধান্ত।”
পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুল রহিম বক্সী বলছেন, “এরা নামেই দল করত। দলের নাম পদ সব ব্যবহার করেছে। সুবিধা নিয়েছে। কিন্তু, দলের কোনও কাজে লাগেনি। বারবরই দলের বিরোধিতা করেছে। এখন ভোটের টিকিট না পেয়েই ওরা বেরিয়ে গিয়েছে। এদের জন্য দলের কোনও অসুবিধা হবে না। এরা যত দলে কম থাকে ততই ভাল।”