
মেগা ধারাবাহিক জনজীবনের বিনোদনের একমাত্র না হলেও অন্যতম প্রধান মাধ্যম অবশ্যই। ধারাবাহিকের নানা গল্প, চরিত্রদের সঙ্গে নিজেদের একাত্ম করে ফেলেন দর্শকরা। এই মুহুর্তে ‘চিরসখা’ ধারাবাহিকের কমলিনী ও ঠাকুরপর সম্পর্কের টানাপোড়েনের সঙ্গে নিজেদের কল্পনা এক করে ফেলছেন দর্শক। এতে অবশ্যই দ্রুত বাড়ছে টিআরপি। এর সঙ্গে অবশ্যই মেগা ধারাবাহিকের অভিনেতাদের ব্যক্তিগত জীবন ও অভিনীত চরিত্রের সঙ্গে মাঝে মধ্যেই গুলিয়ে যায়।
এই যেমন ‘চিরসখা’ ধারাবাহিকের ঠাকুরপোর চরিত্রে দেখা যাচ্ছে অভিনেতা সুদীপ মুখোপাধ্যায়কে। শ্যুটিং-এর ফাঁকেই তাঁর সঙ্গে আড্ডা হল TV9বাংলার। কিছুদিন আগেই ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল সুদীপ মুখোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রীর বিচ্ছেদের গুঞ্জন। পরবর্তী সময়ে বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে এমন খবরের পরও সুদীপ ও পৃথা চক্রবর্তীকে একসঙ্গে অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে। এবার অভিনেতা সুদীপের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে উঠে এল সম্পর্ক ও টানাপোড়েন নিয়ে উঠে এল নানা বিষয়।
ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা বলতে নারাজ হলেও ধারাবাহিকের চরিত্র কমলিনীর ও ঠাকুরপোর সম্পর্ক নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বললেন, “দর্শকদের মধ্যে এই সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে নানা প্রশ্ন আছে, স্যোশাল মিডিয়ায় আমার সঙ্গে নয় বরং নতুন ঠাকুরপোর সঙ্গে কথা বলেন দর্শকদের অনেকেই।” তিনি আরও যোগ করেন ,” আসলে পুরাণের সময় থেকেই না বলা ভালবাসার এই ধরনের সম্পর্ক যখন ছিল, যেমন রাধা-কৃষ্ণের সম্পর্ক। আসলে আমরা সকলেই যে কোনও সম্পর্ক দেখলেই চুলচেরা বিশ্লেষণে বসে যাই। সব ধরনের সম্পর্কে একটা প্যারামিটারে ধরে ফেলতে চাইছেন।” সব সম্পর্ককে ওভাবে মাপা সম্ভব নয়। রবীন্দ্রনাথ ও তাঁর বৌঠানের সম্পর্ক নিয়ে কত কাঁটাছেড়া করে চলেছে, অথচ তাঁদের এতে কিছু আসে যায় না। তাঁরা মরে আবার হয়তো জন্মেও গিয়েছেন। তবে আমরা আলোচনা করেই চলেছি। ”
এই কথা আলোচনার মাঝেই সুদীপ বললেন, “আসলে আমরা যখন কোনওকিছু করি, কেন করি সেটা আমরাই জানি, আমার জায়গায় না থাকলে, কেউ বুঝতেই পারবেন না আমি এই পদক্ষেপ কেন করলাম। যাই হোক দর্শকদের যত পছন্দ হবে, আমরা জানব সেখানেই সাফল্য আসছে।”
অভিনেতা সুদীপ মুখোপাধ্যায় ব্যক্তিগত কথা না বলেও, ইঙ্গিতে কি তাঁর জীবনের উপলব্ধির কথা বলেদিলেন? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তবে আপাত দৃষ্টিতে বলাই যায় অভিজ্ঞতার নিরিখে সুদীপ তাঁর কেরিয়ার ও ব্যক্তিগত জীবনকে গুছিয়ে নিচ্ছেন।