‘মেয়ের সঙ্গে আমার…’, মনরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিচ্ছেন আমির খান?
Aamir Khan: সময়ের সঙ্গে মানুষের ভাবনা চিন্তা বদলেছে। ইদানীং আর শুধু শারীরিক অসুস্থতা নয়, সাধারণ নিজের মানসিক অসুস্থতাকেও সমান গুরুত্ব দিচ্ছেন। সাধারণের মধ্যে এই সচেতনাতা অনেকটাই বেড়েছে সমাজমাধ্যমের দৌলতে। এখন তারকারাও নিজেদের মানসিক অবসাদ, মানসিক স্বাস্থ্য় নিয়ে কোনও লুকোছাপা করেন না। নিজের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কী বললেন আমির?
সময়ের সঙ্গে মানুষের ভাবনা চিন্তা বদলেছে। ইদানীং আর শুধু শারীরিক অসুস্থতা নয়, সাধারণ নিজের মানসিক অসুস্থতাকেও সমান গুরুত্ব দিচ্ছেন। সাধারণের মধ্যে এই সচেতনাতা অনেকটাই বেড়েছে সমাজমাধ্যমের দৌলতে। এখন তারকারাও নিজেদের মানসিক অবসাদ, মানসিক স্বাস্থ্য় নিয়ে কোনও লুকোছাপা করেন না। জীবনে অনেক সময়ই এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে বলিপাড়ার তারকাদেরও । মানসিক অবসাদ প্রসঙ্গে কিছু দিন আগে মুখ খুলেছিলেন অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। এবার মানসিক স্বাস্থ্য় প্রসঙ্গে নিজের গোপন তথ্য ফাঁস করলেন আমির খান।
নায়ক জানিয়েছেন, মেয়ে ইরার সঙ্গে যৌথ ভাবে থেরাপি নিচ্ছেন তিনি। মেয়ের বিয়ের আগে থেকেই নায়ক অনুভব করেছিলেন যে তিনি তাঁর পরিবারকে ততটা সময় দেননি। যতটা দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। তাই আমির আপাতত নিজের প্রতিটা মুহূর্ত পরিবারকেই দিতে চান। তাই মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কটা আরও সুন্দর করতে চান। তাই থেরাপির সাহায্য় নিচ্ছেন। অভিনেতা বললেন, “থেরাপি অনেক সাহায্য় করে। ইরাই আমায় থেরাপির সাহায্য় নেওয়ার কথা বলে। আমার তো মনে হয় যদি কেউ মনে করে তাঁদের কোনও মনরোগ বিশেষজ্ঞর সঙ্গে কথা বলা জরুরি তাহলে অবশ্যই থেরাপি নেওয়া দরকার।”
আমির আরও যোগ করেন। তিনি বলেন, “ইরার সঙ্গে সম্পর্কটা আরও সুন্দর করতে আমরা যৌথ ভাবে থেরাপি নিচ্ছি। অনেকেই এই থেরাপি, বা মানসিক অবসাদ নিয়ে মুখ খুলতে চান না। কিন্তু এটাও তো আর পাঁচটা সমস্যার মতোই একটা সমস্যা। সুতরাং এই বিষয় নিয়ে লুকোছাপার কোনও দরকার আছে বলে আমার মনে হয় না।” এর আগে রিয়া চক্রবর্তীর পডকাস্টে এসেও মেয়ের বিষন্নতা, অবসাদ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন তিনি। আমির বলেছিলেন, “ইরা মাঝে খুবই বিষন্নতায় ভুগছিল। এখন সে অনেকটাই সুস্থ। জুনেদও অভিনেতা হিসাবে নিজের কেরিয়ার শুরু করেছে। যখন আমায় ওদের প্রয়োজন ছিল তখন আমি থাকতে পারিনি। এখন প্রতিটা মুহূর্তে ওদের সঙ্গ দিতে চাই। ছোট ছেলে আজাদের বয়স এখন ৯। আর কিছু দিন বাদেই টিনএজার হয়ে যাবে। এই শৈশবটা আর ফিরে পাবে না। তাই আমি এখন আমার সন্তানদের সঙ্গে থাকতে চাই।”