
হিন্দি হোক বা বাংলা সিনেমা, গানের জাদুতে বুঁদ হয়ে থাকত জনগণ। বহু নামকরা গায়ক সুরকার এই বাংলা থেকেই হাজার মানুষের মনে রাজ করেছেন। এই গান প্রজন্মের পর প্রজন্ম শ্রোতাদের মনোরঞ্জন করেছে। তবে এই গান তৈরির নানান গল্প টুকরো টুকরো উঠে আসে বিভিন্ন সেলিব্রিটিদের সাক্ষাৎকারে, যা ঘুরে বেড়ায় স্যোশাল মিডিয়ার বিভিন্ন মাধ্যমে। নানা ইনস্ট্রুমেন্ট বা বাদ্য যন্ত্র এক সঙ্গে লাইভ বাজত তখন স্টুডিওতে।
তবে এখন স্টুডিও গুলির চিত্র বদলেছে। জাতীয় স্তরের একটি পডকাস্টে এসে গায়ক অভিজিৎ ভট্টাচার্য সরাসরি গায়ক আর রহমানের দিকে আঙুল তুললেন। দোষারোপ করে বললেন, ” সুরকার এ আর রহমানের জন্যই আজ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের বদকরা কাজ হারিয়ে ঘরে বসেন। এই জন্য ওকে ধন্যবাদ। রহমান প্রথম মিউজিক কম্পোজের সময় এই বাদকদের বাদ দিয়ে কম্পিউটারে সব সুরকার করতে শুরু করেন। এর ফল এখন সব মিউজিসিয়নরা কাজ হারিয়ে ঘরে বসে গিয়েছেন। রহমান চান সব রোজগার নিজের কাছ রাখতে। কখনও কোনও বাঁশি বা ড্রামার-এর প্রয়োজন হলে একজন দু’জনকে ডেকে নেবেন স্টুডিওতে। আর এইভাবেই কাজ হারিয়ে ঘরে বসে আছেন বাদ্যযন্ত্র বাদকরা। ”
তিনি আরও বলেন, ” আমি যখন গানের রেকর্ড করেছি, তখন দেখেছি একশত ভাইলেন বাজছে, গিটার বাজছে। সেই গান মনে পড়ে গেল ‘শুননা শুননা শুনলোনা…।”
গায়ক তাঁর ঠোঁটকাটা স্বভাবের জন্য বরাবরই চর্চিত। তিনি বলেন, “কম্পিউটারে সুর করতে করতে রহমান এখন আর নতুন কিছুই করতে পারছেন না। কারণ এখন বাচ্চা বাচ্চারাও এই কম্পিউটারের সুরকার শিখে গিয়েছে। আর কাজ হারিয়ে হত দরিদ্র হয়ে পড়েছেন বাদ্যযন্ত্র বাদকরা।”