‘যত কাণ্ড কলকাতাতেই’ ছবির প্রচারে নেই আবির! ক্ষোভ উগরে দিলেন পরিচালক অনীক ও প্রযোজক ফিরদৌসুল, কী বলছেন নায়ক?

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে ফিরদৌসুল স্পষ্ট জানালেন, ছবি থেকে কি অভিনেতা বড়! প্রচারের জন্য কি এবার আবিরের কাছে ভিক্ষা চাইতে হবে। অন্যদিকে, পরিচালক অনীক দত্ত জানান, 'রক্তবীজ ২' এর ট্রেলার, গান দেখেছি। আমাদের ছবির সঙ্গে কোনও মিল নেই।

যত কাণ্ড কলকাতাতেই ছবির প্রচারে নেই আবির! ক্ষোভ উগরে দিলেন পরিচালক অনীক ও প্রযোজক ফিরদৌসুল, কী বলছেন নায়ক?

| Edited By: আকাশ মিশ্র

Sep 01, 2025 | 9:54 PM

যত কাণ্ড কলকাতাতেই! পরিচালক অনীক দত্তর পুজোর ছবি ‘যত কাণ্ড কলকাতাতেই’ প্রচার নিয়ে জলঘোলা। ছবির প্রচারে অভিনেতা আবির চট্টোপাধ্যায় না থাকায়, সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে ক্ষোভ উগরে দিলেন পরিচালক অনীক দত্ত ও ছবির প্রযোজক ফিরদৌসুল হাসান। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে ফিরদৌসুল স্পষ্ট জানালেন, ছবি থেকে কি অভিনেতা বড়! প্রচারের জন্য কি এবার আবিরের কাছে ভিক্ষা চাইতে হবে। অন্যদিকে, পরিচালক অনীক দত্ত জানান, ‘রক্তবীজ ২’ এর ট্রেলার, গান দেখেছি। আমাদের ছবির সঙ্গে কোনও মিল নেই। দুটো ছবি সম্পুর্ণ আলাদা।

সমস্য়ার শুরুওয়াত পুজোর দুই ছবি ‘রক্তবীজ ২’ ও ‘যত কাণ্ড কলকাতাতেই’ ছবির পুজো মুক্তি নিয়ে। দুটি ছবিকে কেন্দ্র করেই উৎসাহ রয়েছে দর্শকদের মধ্যে। আর এই দুই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন আবির। দুটি ছবির প্রচার একসঙ্গে আবির কীভাবে করবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তবে সোমবার ‘যত কাণ্ড কলকাতাতেই’ ছবির সাংবাদিক বৈঠকে আবির হাজির না থাকায় বিতর্ক বাড়ল। রক্তবীজ ২ ছবিতে চুক্তিবদ্ধ থাকার জন্যই কী আবির হাজির থাকলেন না? নাকি নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ?

এই নিয়ে কী বলছেন আবির?

টিভি ৯ বাংলাকে আবির জানালেন, ”একজন অভিনেতা কি চাইবেন, তাঁর দর্শকরা ভাগ হয়ে যাক! একই দিনে ছবি মুক্তি পেলে। ২০১৪ সালে ডিসেম্বর মাসে, বাদশাহী আংটি আর বেণীসংহার একদিনেই মুক্তি পেয়েছিল। দুটো ছবি ব্লকবাস্টার হয়েছিল। ২০১৫ সালে রাজকাহিনী আর কাঠমুণ্ডু একসঙ্গে মুক্তি পেয়েছিল। দুটো ছবিই সুপারহিট হয়েছিল। ২০১৮ সালের পুজোতে মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি ও ব্যোমকেশ গোত্র একদিনে মুক্তি পায়। অবশ্য মনোজদের অদ্ভুত বাড়িতে আমি অতিথি শিল্পী ছিলাম। ব্য়োমকেশ বক্সী সুপারহিট হয়েছিল। অন্য কোনও তারকার নাম তুলে লাভ নেই। আমি নিজের ছবির ক্ষেত্রেই দেখেছি। আমার নিজের জীবনেও ঘটেছে এমনটা।”

আবির আরও জানালেন, ” সত্যিই এটা আমার ছবি। তাই অনুরোধ করেছিলাম এবার পুজোতে আমার দুটি ছবি যাতে মুক্তি না পায়, আমার দর্শক ভাগ হয়ে গেলে আমারও খারাপ লাগবে। সিনেমার সঙ্গে সেই অ্যাটাচমেন্ট আছে বলেই আমি বলেছি। রক্তবীজ ২ যে এবারের পুজোতেই মুক্তি পাবে, সেটা তো গত বছর থেকেই জানা ছিল। তাহলে এখন কেন এমন প্রশ্ন উঠছে? ২০২৫ এর মার্চ-এপ্রিল মাসে রক্তবীজের শুটিং হয়। এবং তার আগে আমি চুক্তি করেছি। তখন আমি কী করে জানব যে এই বছরের পুজোতে ‘যত কাণ্ড কলকাতাতেই’ মুক্তি পাবে? আমি জানতে পারলাম, ২০২৪ এ বহুরপী ছবির মুক্তিরও কথা উঠেছে, জানতে পারলাম, আমি নাকি গত বছরও ‘যত কাণ্ড কলকাতাতেই’ ছবির মুক্তি পুজোতে না হয়, তা অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু আমার প্রশ্ন হল, গত বছর পুজোর সময় কি এই ছবিটা মুক্তির জন্য তৈরি ছিল? ২০২৫ সালে আমি তো ডাবিং শেষ করেছি। যখন ‘যত কাণ্ড কলকাতাতেই’ ডাবিং শেষ করছি, তখন রক্তবীজ ২ ছবির শুটিং শেষ। আমি কিন্তু বলেছিলাম, ডাবিং তো শেষ এবার ছবিটা কবে মুক্তি পাবে সেটা আলোচনা হোক। কারণ, রক্তবীজ ২ যে পুজোতে মুক্তি পাবে সেটা জানাই ছিল। এরকম তো নয়, যে আমি না জানিয়ে সব কাজ করছি। ১০ জুলাই আমি হাসানদাকে অনুরোধ করেছিলাম, প্লিজ পুজোতে মুক্তি দিও না। আমি চুক্তিবদ্ধ। আমি প্রচারে থাকতে পারব না! ২০২৩ সালে শুটিং শেষ হয়েছে। একটা অভিনেতা কতদিন ধৈর্য ধরতে পারে, অন্য ছবির শুটিং করব না। ওনাদের আবেগের জায়গা থেকে খারাপ লেগেছে, অভিমান হয়েছে। সেটা নিয়ে তো আমি কিছু বলতে পারব না। আমার একটাই পাল্টা প্রশ্ন ২০২৪ এর পুজোর ছবির প্রসঙ্গ উঠছে কেন? ছবিটা কি তৈরি ছিল? গত শনিবার আমি’যত কাণ্ড কলকাতাতেই’ ছবির কারেকশন ডাবিং করে এসেছি। যদি এই ছবির প্রতি কোনও আবেগ না থাকত তাহলে কি এটা করতাম? আমি চাইনি ছবিটার যেন মুক্তি না আটকায়। আমার মনে হয় ওরা যা বলেছে, অভিমান থেকে বলেছে।  ”