টলিপাড়ার প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়। সিনেমা-সিরিয়াল-ওয়েব সিরিজ়–সবেতেই তাঁর অভিনয়ের ছাপ সুস্পষ্ট। অভিনয় করার পাশাপাশি আরও একটি শখ মনের মধ্যে বহুকাল পুষে রেখেছিলেন ভাস্বর। তবে দেরিতে হলেও তার বিকাশ ঘটেছে। বলতে পারবেন, সেটা কী? তিনি একজন লেখক। অভিনয়ের পাশাপাশি, অবসর সময়ে, নানা বিষয় নিয়ে লেখালেখি করেন ভাস্বর। সেই বিষয়গুলির অন্যতম হল কাশ্মীর। কাশ্মীরকে নিয়ে একাধিক বই রয়েছে ভাস্বরের। ‘আলিয়া’, ‘মহারাণী দিদ্দা’, ‘অন্য উপত্যকা’র মতো বই ইতিমধ্যেই লিখে ফেলেছেন তিনি। তাঁর ফেসবুক পেজে গেলেই দেখা মিলবে একাধিক পোস্টের। যেখানে পাঠকরা ভাস্বরের বই সম্পর্কে তাঁদের মতামত জানিয়েছেন।
লেখালেখি সম্পর্কে টিভি লাইন বাংলা ডিজিটালকে ভাস্বর বলেছেন, “অনেক দেরি করে লেখালেখিতে হাত দিলাম আমি। এটা আরও আগে করা উচিত ছিল আমার। মাঝেমধ্যে খুব আক্ষেপ হয় যে, এত দেরিতে সবকিছু কেন শুরু করলাম।”
ভাস্বরের লেখালেখির শখ বহুদিনের। তিনি একাকী মানুষ। প্রথম বিয়ে অসফল হওয়ার পর দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন উত্তমকুমারের নাতনি নবমিতা চট্টোপাধ্যায়কে। সেই বিয়েটাও অসফল হয়েছে। শুটিং না থাকলে অধিকাংশ সময়ই লেখায় মন বসান ৪৯ বছর বয়সি ভাস্বর। শুটিং থেকে ফিরেই ঘরে বন্ধ করে নেন নিজেকে। শুরু হয় তাঁর গল্পের চরিত্রদের সঙ্গে আলাপচারিতা। নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছেন ভাস্বর। অভিনয় যদি হয় তাঁর প্রথম ভালবাসা, লেখালেখি নিঃসন্দেহে শেষ।