প্রয়াত অভিনেতা পার্থসারথি দেব। বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। গত ৯ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অভিনেতাকে। একমাসেরও বেশি সময় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর ২২ মার্চ রাত ১১.৫০শে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন পার্থসারথি। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ টলিউড।
দীর্ঘদিন ধরেই সিওপিডি (দুর্বল ফুসফুস, শ্বাস নিতে সমস্যা)-র সমস্যায় ভুগছিলেন পার্থসারথি। হয়েছিল নিউমোনিয়াও। জীবনের শেষ কঠিন লড়াইয়ে পরিবারকে পাশে পাননি পার্থসারথি। তিনি বিয়ে করেছিলেন ইন্ডাস্ট্রিতেই কর্মরত রূপসজ্জা শিল্পী বিনিতা দেবকে। বহুদিন আগেই সেই সম্পর্ক ভেঙেছে। তাঁরা আলাদা থাকতেন। একসময় স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগোও এনেছিলেন বিনিতাদেবী। তবে শেষ সময়টায় টলিউডের আর্টিস্ট ফোরাম তাঁর দেখভাল করেছে। আর্টিস্ট ফোরামের সহ-সভাপতি পদেও নিযুক্ত ছিলেন পার্থসারথি।
অভিনেতার মৃত্যুর পর আর্টিস্ট ফোরাম শোকজ্ঞাপন করে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। জানানো হয়েছে, পার্থসারথির নশ্বর দেহ দুপুর ২টোর সময় আনা হবে টেকনিশিয়ান্স স্টুডিয়োতে। সেখানই রয়েছে আর্টিস্ট ফোরামের দফতর। তখনই অন্যান্য শিল্পী এবং কলাকুশলীদের পার্থসারথি দেবের পার্থিব দেহে মাল্যদানের অনুরোধ করা হয়েছে।
চার দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে নিজের অভিনয় দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন পার্থসারথি। সিনেমা, সিরিয়াল এমনকী, নাটকের মঞ্চেও তিনি বিরাজ করেছেন সমহিমায়। ‘লাঠি’, ‘প্রেম আমার’-এর মতো ছবিতে তাঁর অবদান মনে রাখার মতো। ২০২৩ সালে পুজোর সময় মুক্তিপ্রাপ্ত ‘রক্তবীজ’ ছবিতে দেখা যায় পার্থসারথিকে। ২০২১ সালে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তখন ফুসফুসটা আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেবার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন, কিন্তু এবার আর তাঁকে ফিরিয়ে আনা গেল না।