বিগত বেশ কয়েক দিন ধরেই ‘দেশের মাটি’ ধারাবাহিকে রাজা-মাম্পির ট্র্যাকে মজেছেন দর্শক। রাজা ওরফে রাহুল ভট্টাচার্য এবং মাম্পি অর্থাৎ রুকমার অনস্ক্রিন প্রেমে কখনও কাঁদছেন দর্শক আবার কখনও বা তাঁদের আনন্দে মুখে হাসি ফুটছে তাঁদের। অজান্তেই জনে মিশে গিয়েছে রিল-রিয়েল। আর তাতেই কটাক্ষের শিকার হচ্ছেন ওই ধারাবাহিকের অন্যতম লিড শ্রুতি দাস। ক্রমাগত মেসেজ আসছে, “তোমরা আর হিরো হিরোইন রইলে না”। তোমরা অর্থাৎ নোয়া-কিয়ান। দিব্যজ্যোতি দত্ত এবং শ্রুতি দাস। এ বার এই প্রশ্নের উত্তরেই মুখ খুললেন শ্রুতি…
নায়িকার স্পষ্ট জবাব, ওই ধারাবাহিক তথাকথিত হিরোহিরোইন ভিত্তিক নয়। এখানে নোয়া-কিয়ান, রাজা-মাম্পি, ডোডো-উজ্জয়িনী, দাদান-ঠাম্মি, বৌরানী-জেঠুমনি সবাই হিরো-হিরোইন”। ধারাবাহিকটি প্রথম থেকেই একেবারেই তথাকথিত লিডদ্বয়ের প্রেমের গল্প নয়। চিত্রনাট্যকার লীনা তাতে যোগ করেছেন ভিন্ন ট্র্যাক। কখনও তাতে প্রাধান্য পেয়ে যায় নোয়া-কিয়ানের বিয়ে আবার কখনও বা দর্শক মন ছুঁয়ে যায় রাজা-মাম্পির ‘লাভ-হেট’ সম্পর্ক। ঠিক যেমন এখন…
কিন্তু প্রতিনিয়ত “দেশের মাটিতে তো তোমরা আর হিরো হিরোইন রইলে না!” মন্ত্যবে কি কোথাও গিয়ে খারাপ লাগছে শ্রুতির? সে প্রশ্নের উত্তরও অভিনেত্রী দিয়েছেন তাঁর ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে। তিনি লিখেছেন, “এসব বলেও আমার মনোবল ভাঙবে না। কিন্তু রোজরোজ এত মানুষের মৃত্যু গুলো আমার মনোবল ভেঙে দিচ্ছে, মানসিক ভাবে একটু প্রপার মানুষ হওয়ার চেষ্টা করুন প্লিজ। শারীরিক ভাবে হলে এক্সট্রা দু-টো পা যুক্ত হয়ে একটু পশুদের মত অবলা হতে বলতাম।”
শ্রুতির পোস্টে কমেন্ট করেছেন ধারাবাহিকের উজ্জয়িনী ওরফে পায়েল দে’ও। তিনি লিখেছেন, “ভালবাসি। এত সুন্দর একটা লেখার জন্য আদর।” উত্তর দিয়েছেন শ্রুতিও। পায়েলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, “তোমাকেও ভালবাসি। সবাই বলে লোকের কথায় কান না দিয়ে এগিয়ে যাও। কিন্তু মুখ না খুললে যে মুশকিল। কারণ কথায় আসে মৌনতা সম্মতির লক্ষ্মণ”।
মুখ খুলেছেন শ্রুতি। পাশে পেয়েছেন অনুরাগীদেরও। নোয়া-কিয়ান, রাজা-মাম্পি সহ অন্যান্যদের ভালবাসার গল্প নিয়ে তরতর করে এগিয়ে চলেছে ‘দেশের মাটি’।