মাত্র ৫ মিনিটের দেরি, ভয়ানক মাশুল দিতে হয় উত্তমকুমারকে!
UttamKumar: তিনি মহানায়ক। তিনি বহু মানুষের জীবনের অনুপ্রেরণা। কথা হচ্ছে মহানায়ক উত্তমকুমারের। ঝুলিতে তাঁর একের পর এক হিট সিনেমা। কিন্তু জানেন কি মাত্র কয়েক মিনিট দেরি করার জন্য শুটিং ফ্লোর থেকে বার করে দেওয়া হয়েছিল নায়ককে।
তিনি মহানায়ক। তিনি বহু মানুষের জীবনের অনুপ্রেরণা। কথা হচ্ছে মহানায়ক উত্তমকুমারের। ঝুলিতে তাঁর একের পর এক হিট সিনেমা। কিন্তু জানেন কি মাত্র কয়েক মিনিট দেরি করার জন্য শুটিং ফ্লোর থেকে বার করে দেওয়া হয়েছিল নায়ককে। শুধু তাই নয় সেই ছবি থেকেও বাদ গিয়েছিলেন নায়ক। সুপারস্টারের সঙ্গেও এমনটা হতে পারে? এটা কেউ হয়তো ভাবতেই পারবেন না। কিন্তু এমনটাই ঘটেছিল। ফ্লোরে তারকাদের দেরি করে আসা এমন কিছু বড় ব্যাপার নয় এ যুগে। এমন অনেক সময়ই হয় গোটা ফ্লোর অপেক্ষায় রয়েছে। এ দিকে নায়ক নায়িকারা নির্ধারিত সময়ের অনেকক্ষণ পরে এসে পৌঁছচ্ছেন শুটিংয়ে। কিন্তু সে যুগে এমনটা কোনও পরিচালক বরদাস্ত করতেন না। তাই তো মাশুল দিতে হয়েছিল উত্তমকুমারকে।
তখন শিল্পী সংসদের সভাপতি উত্তমকুমার। সম্পাদক ছিলেন অর্ধেন্দু মুখোপাধ্যায়। তিনি যেমন এক দিকে অভিনেতা ছিলেন সেই সঙ্গে ছিলেন পরিচালক এবং প্রযোজকও। সে সময় ‘ঢুলি’ ছবিটি তৈরি করছিলেন তিনি। যে ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল উত্তমকুমারের। কথা মতো সব কিছুই তৈরি ছিল। শুটিং শুরু হবে। যে সময় ছিল কল টাইম। মহানায়ক ফ্লোরে পৌঁছন ঠিক পাঁচ মিনিট পরে। ব্যস তাতেই ভয়ঙ্কর কাণ্ড। নায়ককে সটান বাদ দিয়ে দেন পরিচালক অর্ধেন্দু। তার পরিবর্তে অভিনয় করেছিলেন প্রশান্ত কুমার। যদিও এই প্রথম নয় আগেও একবার এমনই এক ঘটনা ঘটেছিল নাকি। শুটিংয়ে আসতে দেরি করেছিলেন নায়ক। রেগে গিয়ে ফ্লোর ছেড়ে বেরিয়ে যান সুচিত্রা সেন। তবে সিনেমা থেকে বাদ পড়ার কারণে, অর্ধেন্দু-উত্তমের সম্পর্কে প্রভাব পড়েছিল এমনটা শোনা যায় না।