জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর কার ফোনের অপেক্ষায় ছিলেন অনন্যা চট্টোপাধ্যায়?

এই মুহূর্তে বেশকিছু ছবিতে পরপর তাঁকে দেখা যাচ্ছে, অনন্যার অভিনয়ের ভক্তদের জন্য ভাল খবর। পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের 'সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই', এর পর 'অন্নপূর্ণা ' ছবিতে আরও একটি মহিলা কেন্দ্রিক ছবিতে প্রধান চরিত্রে দেখা গিয়েছে অনন্যা চট্টোপাধ্যায়কে।

জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর কার ফোনের অপেক্ষায় ছিলেন অনন্যা চট্টোপাধ্যায়?

| Edited By: আকাশ মিশ্র

Jul 04, 2025 | 4:59 PM

এই বছরটা অভিনেত্রী অনন্যা চট্টোপাধ্যায়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দায় জনপ্রিয়তা পেয়েও বহু বছর ক্যামেরা থেকে দূরে ছিলেন তিনি। তবে এই মুহূর্তে বেশকিছু ছবিতে পরপর তাঁকে দেখা যাচ্ছে, অনন্যার অভিনয়ের ভক্তদের জন্য ভাল খবর। পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই’, এর পর ‘অন্নপূর্ণা ‘ ছবিতে আরও একটি মহিলা কেন্দ্রিক ছবিতে প্রধান চরিত্রে দেখা গিয়েছে অনন্যা চট্টোপাধ্যায়কে। এক মায়ের জীবনের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছিল এই ছবি দর্শকদের প্রশংসা পেয়েছিল।

এবার অনন্যা চট্টোপাধ্যায়কে আবার বড় পর্দায় দেখা যাচ্ছে , ছবির নাম ‘ম্যাডাম সেনগুপ্ত ‘। এই ছবিতে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করতে দেখা যাবে তাঁকে। এই ছবির প্রচারে এসেই এক পুরানো স্মৃতি উঠে এল আলোচনায়। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ও অনন্যা চট্টোপাধ্যায় দুজনেই জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী। দুজনের মধ্যে কমন জিনিস অনেকগুলি রয়েছে। যেমন পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষের পরিচালিত ছবির জন্যই এই দুজনে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়াও দুজনেই নৃত্যপটিয়সী। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর নামে একটি ছোট পর্দার ননফিকশন শো থেকেই দুজনের আলাপ ও বন্ধুত্ব। এবং TV9বাংলায় আলাপচারিতায় উঠে এল আর এক ঘটনা , যা নিয়ে কথা বললেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ও অনন্যা চট্টোপাধ্যায়।

ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত জানালেন, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্তির পরে অনন্যা চট্টোপাধ্যায় জাতীয় পুরস্কার পায় এবং ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বললেন, ” আমার মনে আছে অনন্যা যে বছর জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিল ‘আবহমান ‘ ছবির জন্য, সে বছর ওই সময় আমি কলকাতার বাইরে ছিলাম। তবে খবর পাওয়ার পর আমি কলকাতা ফিরে ফোন করি অনন্যাকে। অনন্যা তখন বলেন, ঋতুদির এই ফোনের অপেক্ষায় ছিলাম আমি”। এই কথা শুনে অনন্যা যোগ করে বলে, ” সত্যি আমি ভাবছিলাম সবাই ফোন করেছে ঋতুদি এখনও ফোন করলেন না কেন? একথা ভাবতে ভাবতেই ঋতুদির ফোন আসে। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর এই শুভেচ্ছা আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, আমার বেশ মনে আছে, ওই ফোন পাওয়া মাত্রই আমি ঋতুদিকে বলেছিলাম, যে এই ফোনের অপেক্ষায় ছিলাম আমি। অনেক কিছু শিখেছি আমি ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর থেকে। এখনও আমার সেভিয়ার ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। তাই ঋতুদি যখন ফোন করে বললেন এই ছবির চরিত্রটি ভাল, আমি আর না করতে পারিনি, কারণ জানি ভাল বলেই ঋতুদি আমায় ফোন করেছেন।”