ছোটবেলা থেকে অভিনয় জগতের সঙ্গে তাঁর ওঠা বসা। বাবা বিপ্লবকেতন চক্রবর্তী। তাঁর দুই বোনও বেশ জনপ্রিয় টলিপাড়ায়। কথা হচ্ছে অভিনেত্রী বিদিশা চক্রবর্কী। তাঁর দিদি হলেন বিদীপ্তা চক্রবর্তী এবং বোন হলেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী। দীর্ঘ দিন শহর না থাকায় এই জগতের থেকে অনেকটাই দূরে ছিলেন তিনি। তবে এখন তাঁকে বিভিন্ন সিরিয়ালে মাঝে মাঝে দেখতে পাওয়া যায়। বর্তমানে আরজি কর কাণ্ডের জেরে উত্তপ্ত পরিবেশ গোটা শহর জুড়ে। এই প্রতিবাদে পথে নেমেছেন বিদিশার দুই বোনই। চুপ নেই তিনিও। এই ঘটনার রেশ ধরেই টলিপাড়ার অন্দরের একের পর এক ঘটনাও উঠে আসছে প্রকাশ্যে। সম্প্রতি স্টুডিয়োপাড়ার এক অভিনেত্রী অভিযোগ জানিয়েছিলেন যে ইন্ডাস্ট্রির এক রূপটান শিল্পীর বিরুদ্ধে। নায়িকার অভিযোগ ছিল সেই মেকআপ আর্টিস্ট তাঁকে মেকআপ করার অছিলায় খারাপ ভাবে ছোঁয়ার চেষ্টা করেন। এত ঘটনা শোনার পর বিরক্ত বিদিশা তাঁর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। ফেসবুকে একটি বড় পোস্ট করেন অভিনেত্রী।
তিনি লেখেন,”ছোটবেলা থেকে অনেকগুলো বছর ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছি। ১৪ বছর অন্য শহরে থাকার পর ফিরে এসেও কাজ করেছি। এখন প্রায় পঞ্চাশ বছর বয়সে এসেও পুরুষ সহকর্মীর থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে? সেই পুরনো মুখ এখনও মুখোশ পরে মেকআপ করার নাম করে পিঠে বুকে হাত বুলিয়ে যাবে? এত বছরেও পাল্টালো না?” এই পিরিস্থিতিতে বিদিশা একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন। এত বছরেও মহিলারা নিজেদের কাজের জায়গায় সুরক্ষিত থাকতে পারবে না? সেই উত্তর কে দেবে? প্রশ্ন বিদিশার। তিনি লেখন, “টেকনিশিয়ানস গিল্ড ফেডারেশন কিচ্ছু জানেন না? নাকি জেনেও না জানার ভাব করেন? গরীব টেকনিশিয়ানের ‘পেটে লাথি না মারার’ বাহানায় আর কত দিন মহিলাদের বুকে ধাক্কা খেতে হবে?” তাঁর এই পোস্টে একাধিক জন মন্তব্য করেছেন। সহমত পোষণ করেছেন অনেকেই। শুধু বিদিশা নন ইন্ডাস্ট্রির অনেক অভিনেত্রীরই প্রশ্ন এই একটাই।