ছেড়েছিলেন পাকিস্তানের নাগরিকত্ব, আদনানের মায়ের মৃত্যুতে বদলা নিল পড়শি দেশ

পাকিস্তানে তিনি ঠিক কী কী পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন, তা অনেকেরই জানা নেই। কোন সমস্যা থেকে তিনি জন্মভূমি ত্যাগ করেছিলেন, সে বিচারও করার প্রয়োজন মনে করেননি অনেকে। এমনকি, গায়কের মায়ের মৃত্যুতেও তাঁর জন্যে খোলেনি সেই দেশের দরজা।

ছেড়েছিলেন পাকিস্তানের নাগরিকত্ব, আদনানের মায়ের মৃত্যুতে বদলা নিল পড়শি দেশ

Jun 02, 2025 | 3:09 PM

গানের জগতে তাঁর অবদান কম নয়। অথচ এতগুলো বছর পার করেও বিতর্ক আজও তাড়া করে তাঁকে। অর্থের কারণে নিজের দেশের সঙ্গে নাকি বেইমানি করেছিলেন আদনান সামি। ওঠে এমন গুরুতর অভিযোগও। কেন? কারণ, পাকিস্তানে জন্মেছিলেন আদনান। সেখানেই তাঁর বড় হয়ে ওঠা। এর পরেই ভারতে আগমন ও এ দেশে পসার বিস্তার। এ দেশ তাঁকে ফিরিয়ে দেয়নি। খ্যাতি-অর্থ সবই দিয়েছিল দু’হাত ভরে। তাই আর দেশেও ফিরে যাননি আদনান। ২০১৬ সালে পাকিস্তানের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেন। পাকাপাকিভাবে ভারতীয় হয়ে যান তিনি। পান ভারতীয় নাগরিকত্ব।

কেন জন্মভূমিতে ফিরে গেলেন না তিনি? উত্তরে আদনান বলেছিলেন, “এখানেই বাড়ির মতো মনে হয়েছিল। যে ভালবাসা এখানে পেয়েছি, এখানেই থাকতে চেয়েছি।” কিন্তু এই ঘটনার পর কার্যত তুলোধনা করা হয় তাঁকে। পাকিস্তানিদের একটা বড় অংশ ছেড়ে কথা বলেন না। তাঁরা দাবি করেন, টাকার লোভেই নাকি ভারতে থাকতে চান আদনান। অনেকেই আবার তাঁকে আখ্যা দেন ‘বেইমান’, ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসেবেও। পাকিস্তানি হয়েও ভারতের প্রতি এত ভালবাসা, ভালভাবে নেননি অনেকেই। কষ্ট পেয়েছিলেন আদনান।

পাকিস্তানে তিনি ঠিক কী কী পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন, তা অনেকেরই জানা নেই। কোন সমস্যা থেকে তিনি জন্মভূমি ত্যাগ করেছিলেন, সে বিচারও করার প্রয়োজন মনে করেননি অনেকে। এমনকি, গায়কের মায়ের মৃত্যুতেও তাঁর জন্যে খোলেনি সেই দেশের দরজা। এক সাক্ষাৎকারে সবটা জানান গায়ক। ২০২৪ সালে তিনি পাকিস্তানে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, কারণ তাঁর মায়ের আচমকাই মৃত্যু ঘটে। তিনি জানান, ভারত মুহূর্তে তাঁর পরিস্থিতি বুঝেছিল। তাই সব রমকের সহযোগিতা করেছিল। ভারতের তরফ থেকে গ্রীনসিগন্যাল পেয়ে তিনি পাকিস্তানের ভিসার জন্যে আবেদন জানিয়েছিলেন। সমস্ত ঘটনা বিস্তারে জানানোর পরও তাঁরা আদনানের ভিসার আবেদন নাকোচ করে দেন। ফলত, তিনি যেতে পারেননি। আর মায়ের শেষকৃত্য তিনি হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিয়ো কলেই দেখেছিলেন। মাকে শেষ দেখা হয়নি গায়কের।