
একেবারে নিঃশব্দে দাহ করা হল বলিউডের হিম্য়ান ধর্মেন্দ্রকে। অনুরাগীরা শেষবার নায়ককে দেখার সুযোগই পেলেন না। দেওল পরিবারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জমেছে বলিপাড়ার এক অংশেও। ঠিক সেই সময়ই সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনীর দুই কন্যা এষা দেওল ও অহনা দেওলের এক পুরনো ভিডিয়ো। যেখানে বাবার সম্পত্তির ভাগ নেওয়া নিয়ে স্পষ্ট মন্তব্য করেছিলেন তাঁরা।
বেশ কয়েকবছর হল বলিউড অভিনেতারা সিনেমায় অভিনয়ের পাশাপাশি রেস্তোরাঁ খুলছেন। এই পথে হেঁটেছিলেন ধর্মেন্দ্রও। হিম্যান নামেই খুলেছিলেন রেস্তোরাঁ। মুম্বইয়ের লোনাভেলায় ১০০ একর জমির উপর তৈরি হয়েছে ধর্মেন্দ্রর বিলাসবহুল ফার্মহাউজ। যাঁর আনুমানিক মূল্য ১২০ কোটি টাকা। এই ছাড়াও মুম্বইয়ের নানা এলাকাতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ধর্মেন্দ্র বেশ কয়েকটি বিলাসবহুল বাংলো এবং রিসর্ট।
পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে বাড়ি-জমি মিলিয়ে ১৭ কোটি টাকার সম্পত্তির রয়েছে ধর্মেন্দ্র নামে। এছাড়াও চাষের জমি এবং কৃষিঅযোগ্য জমি মিলিয়ে ১.৪ কোটি টাকার একটি সম্পত্তির মালিক তিনি। তবে এত সম্পত্তির থেকে একটি টাকাও পাচ্ছেন না হেমা মালিনী।
সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ধর্মেন্দ্রর প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌরের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি তাঁর। সেটা করতেও চাননি ধর্মেন্দ্র। কিন্তু হেমার সঙ্গে বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। সেই প্রেক্ষিতে তাঁদের বিয়ে হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্ট অনুযায়ী বৈধ নয়। তবে দ্বিতীয় পক্ষের দুই কন্যা এষা দেওল ও অহনা দেওল বাবার সম্পত্তি পেতে পারেন উত্তরাধিকার সূত্রে।
তা বাবার সম্পত্তির থেকে কী চান দুই মেয়ে?
ভাইরাল হওয়া পুরনো সাক্ষাৎকারে এষা ও অহনা জানিয়ে ছিলেন, তাঁরা বাবার সম্পত্তি থেকে একমাত্র ধর্মেন্দ্র ফিয়াট গাড়িটাই নিতে চান। কেননা, এই ফিয়াট গাড়িতেই মিশে রয়েছে দুই বোনের ছোটবেলার অনেক স্মৃতি। শুধু তাই নয়, প্রথম ছবি হিট করার পর এই গাড়িটাই ছিল ধর্মেন্দ্রর প্রথম নিজের পারিশ্রমিকে কেনা গাড়ি। ১৯৬০ সালে ১৮ হাজার টাকায় এই গাড়িটি কিনেছিলেন ধর্মেন্দ্র। ৬০ বছর ধরে এই গাড়িটাকে যত্নে রেখেছিলেন তিনি। সুযোগ পেলে নিজেই চালাতেন। বাবার সেই গাড়িটিকেই সবচেয়ে দামি স্মৃতি হিসেবে রাখতে চান অহনা দেওল। এষা দেওলের কাছেও বাবার স্মৃতিই সবচেয়ে দামি।