‘তোমাকে আমি প্রাণের চেয়েও বেশি ভালবাসি’, বিচ্ছেদের গুঞ্জনের মাঝে কাকে কেঁদে-কেঁদে বললেন ঐশ্বর্য

Aishwarya Rai Bachchan: সকলে বলছে স্বামী অভিনেতা অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে সম্পর্কটা নাকি আর নেই ঐশ্বর্যর। কন্যা আরাধ্যার জন্যই নাকি বিয়েটা ভেঙে দিতে পারছেন না ঐশ্বর্য-অভিষেক। এই গুজবের মাঝেই ঐশ্বর্যর হৃদয় লিখল, "তোমাকে নিজের প্রাণের চেয়েও বেশি ভালবাসি।"

তোমাকে আমি প্রাণের চেয়েও বেশি ভালবাসি, বিচ্ছেদের গুঞ্জনের মাঝে কাকে কেঁদে-কেঁদে বললেন ঐশ্বর্য
ঐশ্বর্য রাই বচ্চন।

|

Mar 19, 2024 | 4:20 PM

২০২৩ সালে শুরু হয়েছে বচ্চন পরিবারের সঙ্গে পরিবারের পুত্রবধূ ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের বিবাদের নানা গুজব। ১ নভেম্বর ছিল ঐশ্বর্যর জন্মদিন। এদিন ৫০ বছরে পা দিয়েছিলেন ঐশ্বর্য। শোনা কথা, মেয়ে আরাধ্যার হাত ধরে নাকি বচ্চন পরিবার থেকে বেরিয়ে যান তিনি। মা বৃন্দা রাইয়ের সঙ্গে দিনটা কাটিয়েছিলেন। তার আগেই অবশ্য কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল, ঐশ্বর্যর সঙ্গে কোনও এক কারণে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেদের তেমন বনিবনা হচ্ছে না। এমনকী, স্বামী অভিষেকের সঙ্গেও ঐশ্বর্যর সম্পর্ক নাকি তলানিতে এসে ঠেকেছে। তাঁদের নাকি বিবাহবিচ্ছেদ হতে চলেছে!

ঐশ্বর্যর ৫০তম জন্মদিনে বচ্চনদের পরিবারে কোনও আনন্দ আড়ম্বরই হয়নি। কোনও পার্টিও না। বউমার জন্মদিনে কেন এত নিস্তব্ধতা, তা নিয়ে অনেকে অনেক অনুমান করেছেন। শাশুড়ি জয়া, শ্বশুর অমিতাভ–কেউ ঐশ্বর্যকে শুভেচ্ছা জানাননি। কেউ না। কেবল অভিষেক একটা শুকনো ‘হ্যাপি বার্থ ডে’ পোস্ট করেছিলেন ঐশ্বর্যর একটি সাদাকালো ফটো দিয়ে।

এবার ছিল ঐশ্বর্যর প্রতিশোধের পালা। ১৭ মার্চ, রবিবার ছিল ঐশ্বর্যর ননদ শ্বেতা বচ্চনের ৫০তম জন্মদিন। ননদ যেমন বউদিকে উইশ করেননি, বউদিও চুপ থাকলেন। ননদকে কিছুই লিখলেন না। বললেন না। কেবল তাই নয়, বাবা অমিতাভের পৈতৃক ভিটে ‘প্রতীক্ষা’য় এদিন পার্টি হয়েছে। সেই পার্টি দিয়েছেন অমিতাভ-জয়া। সেই পার্টিতেও দেখা যায়নি ঐশ্বর্যকে। তিনি বয়কট করেছেন সেই পার্টি। অনেকে আবার বলছেন, সেই পার্টিতে নাকি ডাকাই হয়নি ঐশ্বর্যকে। কয়েক মাস আগেই সেই বাড়িটি অমিতাভ লিখে দিয়েছিলেন কন্যা শ্বেতার নামে।

একদিন আগেই ননদের জন্মদিন উপেক্ষা করলেন ঐশ্বর্য। কিন্তু ১৮ মার্চ একজনকে ভালবাসায় ভরিয়ে দিলেন তিনি। কে সেই ব্যক্তি? তিনি ঐশ্বর্যর প্রয়াত পিতা কৃষ্ণরাজ রাই। বাবার একাধিক ছবি পোস্ট করে ঐশ্বর্য লিখেছেন, “তোমাকে আমি সবচেয়ে বেশি ভালবাসি বাবা। তোমার আশীর্বাদ পেয়ে আমি নিজেকে ধন্য মনে করি।”