লাস্ট মিনিটে কেন ‘রহমান ডাকাইত’ হতে চাননি অক্ষয়? কারণটা অবাক করে দেওয়ার মতো

বালুচি সংস্কৃতির ছোঁয়া রাখতে এবং চরিত্রটিকে অনন্য করে তুলতে একটি বিশেষ দৃশ্য নিয়ে কাজ করেন পরিচালক আদিত্য ধর ও স্মৃতি। যেখানে অনেক ড্যান্সারদের মাঝে অক্ষয়কে আলাদা করে দেখানোর প্রয়োজন ছিল। স্মৃতি জানান, "প্রথমে ভেবেছিলাম সবাই কালো পরবে। কিন্তু বালুচিরা সাধারণত সাদা পোশাক বেশি পরে।

লাস্ট মিনিটে কেন রহমান ডাকাইত হতে চাননি অক্ষয়? কারণটা অবাক করে দেওয়ার মতো

|

Dec 25, 2025 | 1:28 PM

৫ ডিসেম্বর বড় পর্দায় মুক্তি পেয়েছে ‘ধুরন্ধর’ (Dhurandhar)। ছবিতে ‘রহমান ডাকাইত’-এর চরিত্রে অক্ষয় খান্নার অভিনয় যেমন দর্শকদের নজর কেড়েছে, তেমনই আলোচনায় এসেছে তাঁর অনবদ্য পোশাক ও স্টাইল। কিন্তু এই লুক তৈরি করা মোটেও সহজ ছিল না। সিনেমার কস্টিউম ডিজাইনার স্মৃতি চৌহানের সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে উঠে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য—শুরুতে এই চরিত্রের জন্য নির্ধারিত পোশাক নিয়ে একেবারেই রাজি ছিলেন না অক্ষয়।

কেন বেঁকে বসেছিলেন অক্ষয়?

স্মৃতি চৌহান জানান, রহমান ডাকাইতের জন্য প্রথমে যেসব পোশাকের পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তা দেখে অক্ষয় খান্না সরাসরি বলেছিলেন, “আমি নিশ্চিত নই যে আমাদের এই পথে হাঁটা উচিত কি না।” আসলে চরিত্রের গভীরতা এবং প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সেই পোশাকগুলো মানানসই হবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন অভিনেতা।1

এক অনুষ্ঠানে স্মৃতি জানান, অক্ষয় নিজে চরিত্রের বিবর্তন নিয়ে খুব সচেতন ছিলেন। রহমান ডাকাইত চরিত্রটি রাস্তা থেকে উঠে আসা এবং পরবর্তীতে রাজনীতিতে যোগ দেওয়া—এই পুরো জার্নিটা যেন তাঁর পোশাকেও ফুটে ওঠে, তা নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন অক্ষয়।

স্মৃতি বলেন, “অক্ষয় স্যারের নিজের ইনপুট ছিল যে, আমরা যেন ভুলে না যাই সে রাস্তার ছেলে। তাঁর কথা মতোই আমরা তাঁকে কুর্তা ও জিন্স পরাই। এটি অত্যন্ত অর্থবহ ছিল কারণ ছবিতে তাঁর উত্থান দেখানো হয়েছে। শুরুতে তাঁকে সাধারণ লিনেন এবং ডেনিম পোশাকে দেখা যায়, আর পরবর্তীতে যখন সে শক্তিশালী হয়ে ওঠে, তখন সিল্ক-উলের পাঠানি স্যুটে তাঁর আভিজাত্য ফুটে ওঠে।”

পোশাক ডিজাইন করার সময় একাধিক ট্রায়াল দেওয়া হয়েছিল। এমনকী, এমব্রয়ডারি করা বাহারি পাঠানি সুটও তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু অক্ষয় তাঁর আপত্তিতে অনড় ছিলেন যতক্ষণ না পর্যন্ত চরিত্রের রুক্ষতা এবং আভিজাত্যের সঠিক মিশেল খুঁজে পাওয়া যায়।

সবশেষে, বালুচি সংস্কৃতির ছোঁয়া রাখতে এবং চরিত্রটিকে অনন্য করে তুলতে একটি বিশেষ দৃশ্য নিয়ে কাজ করেন পরিচালক আদিত্য ধর ও স্মৃতি। যেখানে অনেক ড্যান্সারদের মাঝে অক্ষয়কে আলাদা করে দেখানোর প্রয়োজন ছিল। স্মৃতি জানান, “প্রথমে ভেবেছিলাম সবাই কালো পরবে। কিন্তু বালুচিরা সাধারণত সাদা পোশাক বেশি পরে। তাই পরিচালক আদিত্য স্যারের পরামর্শে সব ড্যান্সারদের সাদা পোশাক দেওয়া হয় এবং অক্ষয়কে পরানো হয় কুচকুচে কালো বালুচি পাঠানি। যেহেতু রহমান ডাকাইতকে ছবিতে ‘শের-ই-বালুচ’ উপাধি দেওয়া হয়, তাই কালো পোশাকে তাঁর সেই ব্যক্তিত্ব দারুণভাবে ফুটে ওঠে।”

অক্ষয় খান্নার এই খুঁতখুঁতে স্বভাব এবং চরিত্রের প্রতি একনিষ্ঠতাই শেষ পর্যন্ত ‘রহমান ডাকাইত’ চরিত্রটিকে আইকনিক করে তুলেছে বলে মনে করছেন সিনেমার সঙ্গে যুক্ত কলাকুশলীরা।