১৯৭৪ সালের ৪৬তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডে ডেভিড নিভেন পরিচায় করাচ্ছিলেন এলিজ়াবেথ টেলরের। সেই সময় এক নগ্ন ব্যক্তি মঞ্চের উপর দিয়ে দৌঁড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। ঠিক তেমনভাবেই আমেরিকার অভিনেতা জন সিনাকে কেবলমাত্র গোপনাঙ্গ ঢেকে মঞ্চে ঢুকতে দেখা যায়। বিষয়টিতে হিল্লোল উঠেছে নেটমহলে। সকলেই অবাক বলছেন এটাই নাকি এবারের অস্কারের ‘ওয়াইল্ড’ মুহূর্ত।
তিনি মঞ্চে উঠেছিলেন বেস্ট কস্টিউমের অস্কার তুলে দেওয়ার জন্য। সেই ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়। কিন্তু কেন ভাইরাল হল? এর কারণ, অস্কার যিনি তুলে দিয়েছেন, তিনি মঞ্চে ঢুকেছিলেন উলঙ্গ হয়ে। সেই ব্যক্তি বিখ্যাত জন সিনা। আমেরিকার বিখ্যাত কুস্তিগীর, অভিনেতা এবং ব়্যাপার। অস্কারের হোস্ট জিমি কিম্মেল দেওয়ার জন্য তাঁকে ডেকে আনেন মঞ্চে। এটাও বলেন, জন সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে অস্কার তুলে দেবেন বিজেতার হাতে। প্রথম-প্রথম উলঙ্গে হয়ে মঞ্চে যেতে কুণ্ঠাবোধ করছিলেন জন। কিন্তু তাঁকে প্রায় ধাক্কা মেরেই মঞ্চে পাঠিয়ে দেন জিমি।
“পুরুষের শরীর এক্কেবারেই মস্করার বিষয় নয়,” এমন একটি কথা আর্তনাদ করে বলে ওঠেন জন। তারপর তিনি নিজের আব্রু (পড়ুন গোপনাঙ্গ) ঢাকেন একটি খাম দিয়ে। যে খাম থেকে বেরবে ছবিতে সেরা পোশাকে নির্মাতার বিজেতার নাম। সম্পূর্ণ উলঙ্গে হয়ে একঘর লোকের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে অত্যন্ত লজ্জাবোধ করছিলেন জন। তার এই অবস্থা দেখে বিরাট একটি সোনালি রঙের পর্দা দিয়ে জনকে ঢেকে দেন জিমি। নিজেকে আব্রুতে দেখে অনেকবেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতে শুরু করেন জন। ‘ইউরগোস লানথিমোস পুওর থিংস’ হলিউড ছবিটি সেরা পোশাকের জন্য অস্কার জিতে নিয়েছে এবার। সেই একই ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রীর অস্কার জিতেছেন এমা স্টোন।
জন সেনার উলঙ্গ হয়ে মঞ্চে প্রবেশের এই ঘটনাকে ঘিরে সোশ্য়াল মিডিয়ায় হিল্লোল উঠেছে। বিষয়টিকে অস্কারের ‘বন্য’ কিংবা ‘ওয়াইল্ড’ (wild) মুহূর্ত বলা হচ্ছে। জন যখন সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে মঞ্চে হেঁটে আসছিলেন, সেই সময় অট্টহাসিতে ফেটে পড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অভিনেত্রী মার্গট রবি।