
আজকের থেকে অনেকটাই আলাদা ছিল আকাশবাণীর উপস্থাপনা ‘বেলা দে’র লড়াই। সেই সময়ে বাড়ির মা বোনদের ঘরে বসে বিনোদন বলতে ছিল কেবলমাত্র রেডিও। আকাশবাণী কলকাতার বিশিষ্ট উপস্থাপিকা নির্দেশক ও লেখিকা বেলা দের বায়োপিকে মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন টালিগঞ্জের এভারগ্রীন নায়িকা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। হাজারও নারীর অনুপ্রেরণা বেলা দে’কে নিয়ে ‘বেলা’ সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন অনিলাভ চট্টোপাধ্যায়। এটি তাঁর প্রথম চলচ্চিত্র। ২৯ আগস্ট এই ছবির প্রিমিয়ারে ছিল চাঁদের হাট। বলিউডের অনুপম খের থেকে শুরু করে বাংলার আইকন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, অন্যান্য টলিপাড়ার তারকা থেকে মন্ত্রী মদন মিত্র, এই বিশেষ দিনে উপস্থিত ছিলেন সকলেই। নতুন প্রজন্মের কাছে ‘বেলা দে’কে আলাপ করিয়ে দেওয়ার জন্য প্রশংসিত হয়েছেন নায়িকা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত থেকে পরিচালক অনিলাভ চট্টোপাধ্যায়।
‘তনভি দ্য গ্রেট’ ছবির জন্যে কলকাতায় উপস্থিত ছিলেন অনুপম খের। তিনিও হাজির হলেন এই প্রিমিয়ারে। শুভেচ্ছা জানালেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে। অভিনেতার পাশে দাঁড়িয়ে ঋতুপর্ণা বললেন, “অনুপম খের আমাদের সকলের জন্যে অনুপ্রেরণা। উনি আমায় ‘তনভি দ্য গ্রেট’ প্রিমিয়ারের জন্যে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কিন্তু আমি আসতে পারিনি। আজকের দিনটা খুব ভাল। ‘তনভি’র স্ক্রিনিং হবে। আমি দেখব তনভি। এই ধারার ছবিগুলো ভীষণ উৎসাহিত করে। আমার মনে হয় বেলাও খুব অনুপ্রাণিত করে। এমন আরও অনেক ছবি হওয়া উচিত।”
অন্যদিকে ঋতুপর্ণা প্রসঙ্গে অনুপম খের বলেন, “আমাদের কথা হয়েছিল। আমি ঋতুপর্ণার অনুরাগী। ঋতুর অনেক ছবি দেখেছি। বেলার কাহিনি আমি শুনেছি। খুব অনুপ্রাণিত করে। আমি তনভি-র জন্যে এসেছিলাম। ঋতুপর্ণার সঙ্গে দেখা হয়ে গেল। দুটো ছবিই ভীষণ অনুপ্রেরণা জোগায়। আজ আমাদের সমীকরণ খুব ভাল। উনি আমার ছবির প্রিমিয়ারের জন্যে এসেছেন, আমি ওনার ছবির প্রিমিয়ারের জন্যে বাইরে এসেছি। কলকাতায় এসে আমার খুব ভাল লাগে। কলকাতার দর্শক দারুণ। যদি আপনাকে পছন্দ করে তবে আকাশে তুলে রাখবে, সৌভাগ্য বশত, তাঁদের থেকে আমি সর্বদা আশীর্বাদই পেয়েছি।”
প্রথম ছবিতে এভাবে সাড়া পেয়ে আপ্লুত অনিলাভ চট্টোপাধ্যায়। TV9 বাংলাকে বললেন, “বেলার গল্পে বাঙালি নারীরা অনেক বেশি অনুপ্রাণিত হতে পারে। যে সমস্যাগুলো আগে ছিল, এখনও যেন সেই সমস্যাগুলো রয়ে গিয়েছে। একটা মেয়ে বরাবর নিজের আত্মপরিচিতি খোঁজে। এই লড়াইটাই রয়েছে বেলায়।”
প্রসঙ্গত, ছবি মুক্তির পরই তা দর্শক মনে জায়গা করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসায় ভরে উঠছে ছবি। এক নারীর লড়াইয়ের গল্প এমন ধাঁচে বুঁনেছেন পরিচালক, যে ২০২৫-এ দাঁড়িয়েও গল্প যেন বড়ই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।