
পরিচালক অরিন্দম শীল নতুন বাংলা ছবির কাজ শুরু করছেন। নাম ‘কর্পূর’। দীপান্বিতা রায়ের উপন্যাস ‘অন্তর্ধানের নেপথ্যে’-কে ভিত করে অরিন্দম তৈরি করছেন এই ছবিটা। এই উপন্যাস পড়ার পর পরিচালকের বেশ ভালোলাগে। এই উপন্যাস সত্যি ঘটনা অবলম্বনে লেখা হয়েছিল। যদিও সেই ঘটনার সঙ্গে কল্পনা মিশে লেখাটি তৈরি হয়। নয়ের দশকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি কন্ট্রোলার হারিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে জানা যায় এই ঘটনার সঙ্গে শিক্ষার দুর্নীতির যোগ ছিল। মার্কশিটে নম্বর বাড়ানোর চক্রান্ত করতেন তিনি।
পরিচালক জানালেন, ”এই উপন্যাস থেকেই ছবিটা। একেবারে পলিটিকাল থ্রিলার। তবে পলিটিকাল থ্রিলার করছি বলে, তখন কোন সরকার ক্ষমতায় ছিল, এখন কোন সরকার ক্ষমতায় আছে, সেগুলোর কোনও যোগ নেই। সবটাই কাল্পনিক। তাই ছবিতে রাজনৈতিক দলও কাল্পনিক। ছবিটার সময়কাল নয়ের দশক থেকে ২০১৯ পর্যন্ত।”
ছবির কাস্টিং দেখে তাক লেগে যাওয়ার জোগাড়। ছবির প্রধান চরিত্র মৌসুমী সেনের ভূমিকায় দেখা যাবে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে। ‘মায়াকুমারী’ ছবির পর আবার একসঙ্গে কাজ করছেন অরিন্দম-ঋতুপর্ণা। মৌসুমী সেনের বরের চরিত্রে অভিনয় করছেন অরিন্দম নিজে। লালবাজারের দুঁদে গোয়েন্দার চরিত্রে থাকছেন ব্রাত্য বসু। একজন রাজনীতিকের চরিত্রে বাংলা ছবিতে অভিনয়ে ডেবিউ করছেন কুণাল ঘোষ। সাহেব চট্টোপাধ্যায়ও আছেন রাজনীতিকের চরিত্রে।
১৭ জন গুরুত্বপূর্ণ অভিনেতা-অভিনেত্রী রয়েছেন ছবিতে। বিভিন্ন চরিত্রে যেমন নয়ের দশকে দেখা যাবে, আবার সমসাময়িক সময়েও দেখা যাবে। তাই ছবিতে চরিত্রদের লুকের দিকে নজর থাকবে সিনেমাপ্রেমীদের। বর্তমান সময়ের একটা নিউজ পোর্টাল দেখানো হবে ছবিতে। তার এডিটরের চরিত্রে অভিনয় করছেন অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনন্যার অভিনেত্রী ছাড়াও আরও একটা পরিচয় রয়েছে। তিনি তৃণমূল কংগ্রেস দলের কাউন্সিলার। ছবিতে সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয় করছেন অপর্ণ ঘোষাল। ইনটার্নের চরিত্রে অভিনয় করবেন লহমা ভট্টাচার্য। রুমকি চট্টোপাধ্যায়কে দেখা যাবে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর মায়ের চরিত্রে। শুটিং শুরু হবে আগামী মাস থেকে।
ছবির সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন রথীজিত্ ভট্টাচার্য। প্রযোজনার দায়িত্বে ‘ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশন’ আর ‘কাহাক স্টুডিয়োজ’।