‘সতীত্ব বিসর্জন দিলেই…’ নোংরা প্রস্তাব অভিনেত্রীকে, পর্দা ফাঁস করলেন নায়িকা?
Celeb Gossip:বিস্ফোরক মন্তব্য বাংলাদেশি অভিনেত্রী। এমনিতেই নানা কারণের জন্য আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে বাংলাদেশ। উত্তপ্ত ওপার বাংলার পরিবেশ। এই পরিস্থিতিতে বোমা ফাটালেন বাংলাদেশের এক অভিনেত্রী। নাম দীপান্বিতা রায়। ওপার বাংলার পরিচিত মুখ তিনি।
বিস্ফোরক মন্তব্য বাংলাদেশি অভিনেত্রী। এমনিতেই নানা কারণের জন্য আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে বাংলাদেশ। উত্তপ্ত ওপার বাংলার পরিবেশ। এই পরিস্থিতিতে বোমা ফাটালেন বাংলাদেশের এক অভিনেত্রী। নাম দীপান্বিতা রায়। ওপার বাংলার পরিচিত মুখ তিনি। বাংলাদেশি সংবাদ মাধ্যম ‘কালের কণ্ঠ’র প্রতিবেদন অনুযায়ী ছোটবেলা থেকেই সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে বেড়ে উঠেছেন দীপান্বিতা। বেশ কয়েক বছর আগে নাটক প্রযোজনাও করেছেন। অভিনয় করতে গিয়ে বিস্তর সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। একাধিক কুপ্রস্তাব পাওয়ার জঘন্য অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ্যে এনেছেন অভিনেত্রী। শুধু তাই নয় তিনি সমাজমাধ্যমের পাতায় ঘোষণা করেছেন যে আর কোনও দিন অভিনয় করবেন না। ফেসবুকে কী লিখেছেন তিনি ?
তিনি লেখেন, “পাঁচ বছর আগেই শ্রদ্ধেয় ডিরেক্টর তানভীর মোকাম্মেল ভাইয়া আমাকে বলেছিলেন, ‘দীপা, মিডিয়া তোমার মতো সৎ মেয়ের জন্য নয়।’ গুণীজনের কথা আমি বিশ্বাস করলেও পুরোপুরি মনে ধারণ করতে পারিনি, মানে মন মানেনি। সরকারি চাকরি ছেড়ে যখন আমি ঢাকায় এসেছিলাম, তখন আমি জানতামই না যে, সতীত্ব বিসর্জন না দিলে এখানে একটি কাজও পাওয়া যায় না। ৫ বছর চেষ্টা করলাম আমি, আর কত? গিভ এন্ড টেক অর্থাৎ কারো বিছানায় না গেলে যে সত্যি ই একটিও কাজ পাওয়া যায় না, আমি আসলেই বুঝতে পারিনি।”
তিনি আরও লেখেন, “শুরুর দিকে ডিরেক্টর গিল্ডেরই সদস্য কিছু ডিরেক্টর আমাকে বোঝালো, হয় সতীত্ব বিসর্জন দাও, নয়তো ইনভেস্ট করো। যেহেতু যে কোনো মূল্যেই আমি আমার সতীত্ব নষ্ট করব না, তাই ইনভেস্ট করার সিদ্ধান্ত নিলাম। তবু নাকি আমাকে মেইন কাস্টিং করা যাবে না। আমাকে মেইন কাস্টিং করলে নাকি সেই নাটক টেলিভিশনে চালানো যাবে না।”
অভিনেত্রীর দাবি, বাংলাদেশের বড় বড় ডিরেক্টরদেরকে দিনের পর দিন অনুরোধ করেছি, বছরের পর বছর নক করেছি। এক শ্রেনীর ডিরেক্টররা বলল, ক্যারেক্টার এলেই দেব। কিন্তু কবে সেই ক্যারেক্টার আসবে? এড়িয়ে যাওয়ার জন্য এর চেয়ে ভালো প্রতিত্তর আর হয় না। আরেক শ্রেণির ডিরেক্টররা বলল, গিভ এন্ড টেক ছাড়া তোমাকে কেন কাজ দেব? তবে হ্যাঁ, শুরুর দিকে কয়েকজন এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টরের মাধ্যমে বাইরের কিছু প্রোডাকশনে ছোটখাটো কিছু ক্যারেক্টারে পেয়েছিলাম ঠিকই, কিন্তু সেখানে ১ লট কাজ করার পরই স্বয়ং ডিরেক্টরের কাছ থেকে থাকতো নোংরা প্রস্তাব। আমি তাতে সাড়া না দেওয়ার কারণে সেখানেই কাজের ইতি টানতে হতো।