কথায় বলে ‘সময় বহিয়া যায়, নদীর স্রোতের প্রায়’। এত তাড়াতাড়ি যে শ্রুতি দাসের জীবনের ভাল অধ্যায় এগিয়ে যাবে তা যেন বিশ্বাসই হচ্ছে না ভক্তদের। উচ্ছ্বসিত তাঁরা, একই সঙ্গে তাঁদের প্রশ্ন, “এত তাড়াতাড়ি কী করে”? গত ১০ জুলাই পরিবারের প্রিয়জনদের আশীর্বাদ সঙ্গে নিয়ে বিয়ে করেন অভিনেত্রী শ্রুতি দাস। পাত্র স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার, যিনি টলিপাড়ার পরিচিত প্রযোজক ও পরিচালক। না সামাজিক বিয়ে তাঁরা করেননি, বরং আইনি বিয়ে করেছিলেন। দেখতে দেখতে তাঁদের বিবাহিত জীবনের ছ’মাস অতিক্রম করে ফেললেন শ্রুতি। প্রিয় ‘বাবি’ (পড়ুন স্বর্ণেন্দু)র সঙ্গে এক মিষ্টি ছবি শেয়ার করে শ্রুতি লিখেছেন, “মিসেস দাস হওয়ার অফিসিয়াল ছয় মাস পার করে ফেললাম। যে রকম কেক চেয়েছি সে রকমই পেয়েছি।” না, উদযাপনে তেমন কোনও বাড়বাড়ন্ত নেই। দু’জনে খেতে গিয়েছিলেন। কেক কেটেছেন। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে প্রেম। বেড়েছে একে অন্যের পাশে থাকার নির্ভরতা।
গত বছর জুলাই মাসে বিয়ের খবর দিয়ে সবাইকে কার্যত চমকে দিয়েছিলেন শ্রুতি। প্রথমটায় কেউ বিশ্বাসই করতে পারেননি। অনেকেই সন্দেহের দিকে তাকিয়ে করেছিলেন নানা তির্যক মন্তব্যও। সে নিয়ে টিভিনাইন বাংলার কাছে মুখ খুলেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, “আমরা দু’জন জীবনে কোনও কিছুই প্ল্যান করে করিনি। এক মাস আগেই সবটা ঠিক, আই সোয়ার অন মাই মম। হঠাৎ করেই একদিন বললাম, ‘বিয়েটা করে নিলে কেমন হয়’? বাড়ির সবাইকে জানালাম, যে বিয়ে করতে চাই, তোমাদের কোনও আপত্তি নেই তো? ওরাও জানিয়ে দেয় যে নেই। ব্যস। এর পরেই ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন অফিসে গিয়ে আপিল করি। ব্যস, বিয়ে করে নিই।”
বিয়ে করার পর থেকেই একের পর এক সুখবর আসছে তাঁর জীবন। দুই কামরার ভাড়াবাড়ি থেকে আজ তিনি কলকাতার বুকে নিজের ফ্ল্যাট কিনেছেন। সম্প্রতি বড় পর্দায় এক বড় ব্রেক পেয়েছেন তিনি। শিবপ্রসাদ-নন্দিতা জুটির আগামী ছবি ‘আমার বস’-এ এক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে তাঁকে। ছবিটির মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন রাখী গুলজার। এ ছাড়াও বিশেষ চরিত্রে রয়েছে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই সেই ছবির শুটিং নিয়ে বেজায় ব্যস্ত শ্রুতি।