
সোশ্যাল মিডিয়ায় মাঝে মধ্যেই দেখা মেলে তাঁর। রিলস হোক কিংবা কোনও ক্রেতার ভিডিয়ো, স্টাইলিস এই চাওয়ালাকে চিনে নিতে খুব একটা অসুবিধে হয় না কারও। তাঁর চা বানানোর ধরন থেকে পরিবেশন, টাকা নেওয়া, এমন কি ধূমপানের সময় দেশলাই ধরানোর কায়দাতেও অভিনবত্য। আর যা ছক ভাঙা তাই বর্তমানে নেটপাড়ায় চর্চিত। তিনি চা বানিয়েই বিখ্যাত। না, বিপুল পরিমাণ বিক্রির জন্য ভাইরাল হওয়া ব্যক্তি তিনি নন, বরং তাঁর চায়ের স্বাদ গ্রহণ করেছেন মাইক্রোসফটের কর্নাধার বিল গ্রেটসও। যদিও ডলি চাওয়ালা চিনতেন না তাঁকে। জানতেন না, তাঁর দোকানে কোটি কোটি টাকার মালিক এসে মাত্র সাত টাকার বিনিময়ে চা পান করে গেলেন।
কে এই ডলি চাওয়ালা? মহারাষ্ট্রের নাগপুরে থাকেন তিনি। চা বিক্রি করেই চলছে সংসার। ইন্টাগ্রামে রয়েছে তাঁর ১০ হাজার ফলোয়ারসও। তাঁর কায়দার ভক্ত বহু মানুষ। ব্যস্ততার মাঝে কিছুটা সময় তার সামনে গেলেই যেন মুখে ফোঁটে হাসি। সব সময় সেজেগুজে রয়েছেন তিনি। ব্যক্তিত্বই আলাদা।
তবে এত রকমারি আয়োজন থাকলেও তিনি যে বিশাল পরিমাণ চায়ের দাম নিয়ে থাকেন এমনটা নয়। বরং তিনি মাত্র সাত টাকার বিনিময়ে চা বিক্রি করেন। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১০ লাখ। দিনে আয় তিন হাজারের আসেপাশে। যদিও তিনি নিজেও জানেন না, যে তাঁর জনপ্রিয়তা হয়তো কোন পর্যায় পৌঁছিয়েছে। বিল গেটস সম্পর্কে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছিলেন, আমি ওনাকে চিনতাম না। ভেবেছিলাম কোনও বিদেশি ব্যক্তি আমার দোকানে চা পান করতে এসেছেন। যদিও ডলি এখন ভারতখ্যাত। তাঁর এলাকার অধিকাংশ মানুষই তাঁর কাছে চা পান করেছেন। অন্যান্য জায়গা থেকেও অনেকেই মহারাষ্ট্রে পৌঁছে তাঁর খোঁজ করে থাকেন।