সাওয়ারিয়া—৪০ কোটি রণবীর-সোনমের ডেবিউ ছবি। দর্শক তাঁদের অভিনয় পছন্দ করেছিল ঠিকই তবে কাহিনি, নীল সিনেমাটিক থিম এবং সলমন খানের উপস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে উঠতে পারেনি। বনসালীর মনোমুগ্ধকর রোম্যান্টিক ট্র্যাজেডি ছবিগুলো সাধারণত বক্স অফিসে সাফল্য অর্জন করে তবে, এটি ছিল একেবারে রসিকতা হয়ে থেকে গিয়েছিল।
কাইটস—৫০ কোটি পরিচালক অনুরাগ বাসু। আন্তর্জাতিক লোকেশন। পর্দায় ছিলেন ঋত্বিক রোশন-মেক্সিকান অভিনেত্রী বারবারা মোরি এবং কঙ্গনা রাণাওয়াত। ছবির মাধ্যমে ঋত্বিকের বাবা হলিউড ছুঁতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দেশের দর্শককেও ছুঁতে পারেনি ছবি।
শানদার—৬৯ কোটি নাম ‘শানদার’ হলেও বক্স অফিসে চলেনি। ২০১৫ সালের প্রতীক্ষিত ছবি। অভিনয়ে শাহিদ-আলিয়া। দারুণ সেট, সুপাহরিট গান, কিন্তু স্ক্রিপ্ট ভীষণ নিম্নমানের। ৩৯.৪৮ কোটি টাকা লক্ষ্মীলাভ।
বম্বে ভেলভেট—১২০ কোটি দুর্দান্তভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছিল অনুরাগ কাশ্যপ পরিচালিত ছবি। কে ছিল না ছবিতে! রণবীর কাপুর, অনুষ্কা শর্মা এবং করণ জোহর। ১৯৪০ সালের আমেরিকান ছবির ভাইবস আনার ব্যর্থ প্রচেষ্টা। কালেকশন মাত্র ৩৪ কোটি।
রা ওয়ান—১৩০ কোটি শাহরুখের ড্রিম প্রোজেক্ট। ভিএফএক্স পরীক্ষার দারুণ চেষ্টা। সিনেমার জন্য বিপণন বাজেটও ছিল বিশাল। সমস্ত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, করিনা কাপুর খান এবং একনের মিউজিক থাকা সত্বেও ভরপুর ভরাডুবি।
টিউবলাইট—১৩৫ কোটি ‘বজরঙ্গী ভাইজান’-এর মতো দর্শকের আবেগময় দিকটি ধরার প্রচেষ্টা ছিল। সলমন খান ও সোহেল খান অভিনীত ছবি ‘টিউবলাইট’ সত্যিই ‘জ্বলে’ উঠতে পারেনি।
জিরো—২০০ কোটি শাহরুখ বলেছিলেন, “এটা একটা দূর্যোগ ছিল. আমি কিছুটা ব্যর্থতা উপভোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তাই আমি পরের চার বা পাঁচ মাসের জন্য কিছুটা সময় নিয়েছি,” এখনও ফেরেননি শাহরুখ। বামন শাহরুখ এবং অনুষ্কা অভিনীত ছবিটি দর্শকদের চরম আশাহত করেছিল।