ক্ষুধার্তদের মুখে তুলে দিলেন খাবার, ‘মাদার টেরিজা’-র ভূমিকায় জ্যাকলিন ফার্ণাণ্ডেজ
মাদার একবার বলেছিলেন, “ক্ষুধার্তদের মুখে খাবার তুলে দিলেই একমাত্র শান্তি পাওয়া যায়।” এই কঠিন পরিস্থিতিতে শান্তির খোঁজে বেরিয়েছেন জ্যাকলিন। তাঁর মধ্যে ‘মাদার টেরিজা’ জেগে উঠেছে।
জ্যাকলিন ফার্ণাণ্ডেজ। তাঁর শরীরী উত্তাপের আঁচে নিজেদের সেঁকে নিয়েছেন কত পুরুষ! এই ‘হাই ভোল্টেজ’ নায়িকার যে একটা নরম তুলতুলে মনও আছে তা আর ক’জন জানত? জ্যাকলিন সম্প্রতি একটি সংস্থা খুলেছেন। নাম দিয়েছেনYOLO (you only live once)। এই সংস্থা দয়া-মায়া-মমতার কথা বলবে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা এনজিও-র সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে জ্যাকলিনের সংস্থা।
View this post on Instagram
সদ্যই জ্যাকলিন তাঁর সংস্থার হয়ে রোটি ব্যাঙ্ক ফাউণ্ডেশনে গিয়েছিলেন। খুব ঘনিষ্ঠভাবে এই এনজিও-র সঙ্গে কাজ করে জ্যাকলিনের সংস্থা। কী করলেন সেখানে গিয়ে নায়িকা? যাদের দুবেলা দুমুঠো অন্ন জোটে না, তাদের জন্য রান্না করলেন জ্যাকলিন এবং তাঁর গোটা টিম। তারপর সেই খাবার ক্ষুধার্তের মুখে তুলে দিলেন তিনি। তাঁর মধ্যে যেন মাদার টেরিজা ভর করেছিল। তিনি জানিয়েছেন মাদার একবার বলেছিলেন, “ক্ষুধার্তদের মুখে খাবার তুলে দিলেই একমাত্র শান্তি পাওয়া যায়।” এই কঠিন পরিস্থিতিতে শান্তির খোঁজে বেরিয়েছেন জ্যাকলিন। তাঁর মধ্যে ‘মাদার টেরিজা’ জেগে উঠেছে।
View this post on Instagram
ক্ষুধার্তদের মুখে খাবার তুলে দিতে পেরে এক অনাবিল আনন্দ পেয়েছেন জ্যাকলিন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “ প্রাক্তন মুম্বই পুলিশ কমিশনার মিঃ ডি শিবানন্দ এই রোটি ব্যাঙ্ক ফাউণ্ডেশন এনডিওটি চালান। আমি এই এনজিও-র সঙ্গে কাজ করতে পেরে সত্যি খুব উৎসাহিত বোধ করছি। লাখ লাখ মানুষের দুবেলা খাবারের দায়িত্ব নিয়েছে এই এনজিও। আমি নিজে এই ধরণের কাজে যুক্ত হতে পেরে গর্বিত বোধ করছি।” জ্যাকলিন এই কঠিন পরিস্থিতিতে শুধু ক্ষুধার্ত মানুষ নয়, রাস্তার পশুদেরও তিনি খাবারের ব্যবস্থা করেছেন।
আরও পড়ুন:‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ নিয়ে ফের ফিরে আসছেন অমিতাভ বচ্চন