
মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম। পরিবারের কারওর দূর দূরান্তে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন না। বাবা চাকরি করতেন টাটা স্টিল কোম্পানিতে আর মা সরোজা ছিলেন ব্যঙ্ক ম্যানেজার। বোন দেবিকা, সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, ইউকে থাকেন।

২০০৪ সালে মাধবন ‘আয়াথা এজহুথু’ নামে এক তামিল ফিল্মে অভিনয় করেন। যে ছবির হিন্দি রিমেক ‘যুবা’। দুটো ফিল্মের শুটিং একই সঙ্গে হয়েছিল।

খুব কম সংখ্যক দক্ষিণী অভিনেতা আছে, যাঁদের জনপ্রিয়তা গোটা দেশ জুড়ে রয়েছে। মাধবন তেমনই একজন। তাঁর অন্যতম কারণ প্রায় সাতটি ভিন্ন ভাষার ভারতীয় ছবিতে অভিনয় করেছেন মাধবন।

মাধবন খাঁটি নিরামিষাশী। ভীষণভাবে পশু প্রেমিক এবং পেটা (PETA) সমর্থক। ২০০৬ সালে জুলাই মাসে, পেটা দ্বারা পরিচালিত একটি অনলাইন পোলে মাধবনকে ‘কিউটেস্ট মেল ভেজেটেরিয়ান” হিসাবে নির্বাচিতও করা হয়। প্রায়শই তাঁর প্রিয় কুকুরের সঙ্গে সময় কাটাতে দেখা যায় মাধবনকে।

মাধবনের বলিউডে খ্যাতির উত্থান ঘটে তাঁর ছবি ‘রেহনা হ্যাঁয় তেরে দিল মে’-র মাধ্যমে। পরে পরে যা একেবারে কাল্ট ক্লাসিক হয়ে উঠেছে। ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন গৌতম মেনন এবং এটি ছিল তামিল চলচ্চিত্র ‘মিন্নালে’র রিমেক। তামিল ছবি ‘মিন্নালে’র পরিচালকও ছিলেন গৌতম মেনন। ওটি তাঁর ডেবিউ ছবি ছিল। এবং দুটো ছবিতে একই চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন মাধবন।

ডিগ্রি শেষ করার পরে, মাধবন ভারত জুড়ে যোগাযোগ এবং জনসাধারণের বক্তৃতার বিষয়ে ওয়ার্কশপ করাচ্ছিলেন। ১৯৯১ সালে মহারাষ্ট্রের এক ওয়ার্কশপে তাঁর স্ত্রী সরিতা বিরাজের সঙ্গে দেখা হয় মাধবনের। সরিতা প্রাক্তন ছাত্রী ছিলেন, তাঁর কোর্স শেষ হওয়ার পরে একে অপরকে ডেট করতে শুরু করেন। আট বছর পর ১৯৯৯ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন সরিতা এবং মাধবন।

২০০৭ সালে প্রখ্যাত অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন এবং পরিচালক মণি রত্নমের সঙ্গে একটি সেলিব্রিটি চ্যারিটি ইভেন্টের জন্য গল্ফ খেলেন মাধবন। মার্সেডিজ ট্রফি গল্ফ মিট মুম্বই লেগের কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে জিতেও ছিলেন। এমনকি তিনি ২০১৭ সালে ন্যাশনাল ফাইনালসের জন্যও কোয়ালিফাইও করেছিলেন।