
‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’ ছিল তাঁর বলি ডেবিউ ছবি। এ খবর তো আর অজানা নয়। তবে এটা কি জানেন, সে ছবির আগে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ছবি ‘ফ্যাশন’-এরও অংশ হওয়াপ সুযোগ ছিল সিদ্ধার্থর কাছে। প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সঙ্গে এক স্ক্রিনে দেখা যেত। কিন্তু সিদ্ধার্থ ‘গ্ল্যাডর্যাগস’-এর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থাকার জন্য ছাড়তে হয়েছিল ‘ফ্যাশন’-এর অফার।

চকোলেট বয় সিদ্ধার্থের টেলিভিশন ডেবিউ ছিল ‘ধরতি কা বীর যোদ্ধা পৃথ্বিরাজ চৌহান’ সিরিয়ালে। তাঁর সঙ্গে সেই সিরিয়ালে অভিনয় করেছিলেন রাজ টোকাস। জয়চন্দের চরিত্রে অভিনয়ে করেছিলেন সিদ্ধার্থ। রাজ ছিলেন ‘পৃথ্বিরাজ চৌহান’-এর চরিত্রে।

মিউজিকলাভার সিদ্ধার্থের নতুন নতুন গ্যাজেটের প্রতি আলাদা ভালবাসা রয়েছে। মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, মিউজিক প্লেয়ার এগুলো তো আছেই। অবসরে অথবা ট্রাভেলিং টাইমে কানে হেডফোন গুজে লুপে গান শুনতে ভালবাসেন ‘বার বার দেখো’-র অভিনেতা।

সিদ্ধার্থ ভীষণ ফিটনেস ফ্রিক। নিয়মিত জিমিং করেন তিনি। রাগবি তাঁর সবচেয়ে প্রিয় স্পোর্ট। রাগবি ছাড়া বাসকেটবল, সাঁতার-এর দিকেও তাঁর ঝোঁক রয়েছে। তাঁর পোষ্য ‘অস্কার’-এর সঙ্গে রোজ দৌড়তে বেরোন সিদ্ধার্থ।

অভিনয় ছাড়াও সিদ্ধার্থের আরেক গুণ হল আঁকা। অভিনয়ের ফাঁকে তাঁকে স্কেচ এবং কার্টুনের ডুডলিং করতে তিনি ভীষণ ভালবাসেন।

ফিটনেস ফ্রিক বলে যে খাবার মেপেটেপে খান এমনটা একেবারেই নয়। খেতে ভীষণ ভালবাসেন সিদ্ধার্থ, যাকে বলে ফুডি। ঘরে তৈরি খাবারদাবার ভীষণ পছন্দের। এছাড়া সুশি, ইটালিয়ান কুইজিন, বিরিয়ানি, জিলাপীও সিদ্ধার্থের পছন্দের ডিশ।

অভিনেতা তার পছন্দ সম্পর্কে খুব স্পষ্ট। তিনি বলেছিলেন যে তিনি এমন কোনও মহিলা তাঁর জীবনে চান না যা যিনি ধূমপান করেন বা মদ খান, কারণ তিনি বিশ্বাস করেন যে এই দুই অভ্যাস শরীরকে জন্য ভাল নয়। তিনি নিজেই এসবের থেকে দূরে থাকেন। এমন কেউ যিনি সিদ্ধার্থের ম্যাচিওর্রড দিকও যেমন বুঝবেন তেমনই বুঝহেন তাঁর ইমম্যাচিওর্ড দিকও। এবং সিদ্ধার্থও তাঁর বিপরীতেরপ মানুষটার প্রতি এই এক মনোবৃত্তি রাখেন।