শ্যালক প্রদীপের সঙ্গে মিলে নীল ছবির ব্যবসা করতেন রাজ কুন্দ্রা; জানাচ্ছে মুম্বই পুলিশ
নীল ছবি তৈরি করে দিনে ২-৩ লাখ টাকা রোজগার ছিল রাজ কুন্দ্রার। পরবর্তী সময়ে মূল্য বেড়ে হয় ৬-৮ লাখ। অডিশন দিতে আসা মেয়েদের কখনও অর্ধ নগ্ন, কখনও সম্পূর্ণ নগ্ন হতে বলতেন রাজ।
নীল ছবির জগতে অনেক টাকা। তাই এই পথেই নাকি অনেক টাকা রোজগার করবেন বলে ঠিক করেছিলেন শিল্পা শেট্টির ব্যবসায়ী স্বামী রাজ কুন্দ্রা। সম্প্রতি তাঁকে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, রাজ নাকি পর্নোগ্রাফি ভিডিয়ো তৈরির অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী। তাঁর বিরুদ্ধে নাকি যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ আছে মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে।
জানা যাচ্ছে, লকডাউনের সময় শ্যালক প্রদীপ বক্সীর কোম্পানি কেনরিন লিমিটেডের সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাজ নীল ছবির ব্যবসা শুরু করেন। মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ বলছে, প্রদীপকে ‘হটস্পট’ বিক্রি করতেন রাজ। মুম্বইয়ে বসেই স্কিম সেটিং ম্যানেজ করতেন।
মুম্বই পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার মিলিন্দ ভারাম্বে জানিয়েছেন, রাজ মুম্বইয়ে নিজের অফিসে বসে নীল ছবির ব্যবসা করতেন। তারপর ইউকে-তে ক্লিপ পাঠাতেন প্রদীপের কাছে। ‘হটস্পট’ নামের একটি অ্যাপ তৈরি করেছিলেন দু’জনে। সেখানে আপলোড করা হত ভিডিয়ো। প্রদীপকে উইট্রান্সফারে ভিডিয়ো পাঠাতেন রাজ। এ সব কিছুর যথাযথ তথ্য প্রমাণ পুলিশের হাতে এসেছে।
এখানেই থেমে নেই বিষয়টি। পুলিশ আরও জানিয়েছে, নীল ছবি তৈরি করে দিনে ২-৩ লাখ টাকা রোজগার ছিল রাজ কুন্দ্রার। পরবর্তী সময়ে মূল্য বেড়ে হয় ৬-৮ লাখ। টাকাপয়সার লেনদেনের তথ্যও নাকি আছে পুলিশের কাছে। রাজের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট ঘেঁটে ৭.৫ কোটি টাকার হদিশ মিলেছে, যা তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা জন্য যথেষ্ট বলে মনে করছে ক্রাইম ব্রাঞ্চ।
আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য হিসেবে জানা গিয়েছে, রাজ নাকি নানাভাবে অডিশন নিতেন। অডিশন দিতে আসা মেয়েদের কখনও অর্ধ নগ্ন, কখনও সম্পূর্ণ নগ্ন হতে বলতেন। যাঁরা অডিশন দিতে আসতেন, তাঁরা হতবাক হয়ে যেতেন। গোটা বিষয়টাই তাঁদের কাছে রহস্যজনক হয়ে উঠেছিল।
আরও পড়ুন: “রাজ কুন্দ্রা আমাকে কোনও দিন জোর করেনি”; বললেন গহনা বশিষ্ট