হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি অভিনেত্রী সায়রা বানু
Saira Banu: এখনও ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিটে রয়েছেন সায়রা বানু। তাঁর সুস্থতা কামনা করছেন অনুরাগীরা।
গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সায়রা বানু। সূত্রের খবর, দিন তিনেক আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় মুম্বইয়ের হিন্দুজা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সায়রাকে। সায়রার এক আত্মীয় সাংবাদিকদের জানান, এখনও ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিটে রয়েছেন অভিনেত্রী। তাঁর সুস্থতা কামনা করছেন অনুরাগীরা।
অভিনেত্রী নাসিম বানুর কন্যা সায়রা বানু কিছুদিন আগেই জন্মদিন কাটালেন। সদ্য প্রয়াত স্বামী তথা দীর্ঘদিনের বন্ধু, অভিভাবক দিলীপ কুমারের শোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি সায়রা। তাই এ বছর আলাদা করে কোনও আয়োজন করেননি তিনি। ১৯৬৬ সালে মাত্র ২২ বছর বয়সে দিলীপ কুমারকে বিয়ে করেছিলেন। তাঁদের প্রেম এবং দাম্পত্যের কাহিনি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ইতিহাসে লেখা থাকবে।
‘ঈশ্বর আমার বেঁচে থাকার কারণ ছিনিয়ে নিলেন’। দিলীপ কুমার প্রয়াত হওয়ার পর প্রথম এই কথাটাই বলেছিলেন সায়রা বানু। ভারতীয় সিনেমার প্রথম স্টার দিলীপ কুমারের ব্যক্তি জীবন রঙিন ছিল। শোনা যায়, মধুবালার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল দিলীপ কুমারের। কিন্তু বিয়ে করেছিলেন নিজের অর্ধেক বয়সী সায়রা বানুকে। সায়রারও প্রেমে পড়েছিলেন তিনি। ১৯৬৬তে তাঁদের দাম্পত্যের শুরু। ৫৪ বছরের চিরনবীন সেই দাম্পত্য সম্পর্কের ইতি হয় কয়েক মাস আগে।
বিয়ের পর আর খুব বেশিদিন কাজ করেননি সায়রা। কারণ সংসার, দিলীপ কুমারকে সময় দেওয়াই তাঁর কাছে তখন ছিল প্রায়োরিটি। শোনা যায়, সায়রার বাবা এহসান খান ছিলেন চলচ্চিত্র প্রযোজক। যিনি দেশভাগের পর পাকিস্তানে চলে যান। সায়রার মাও অভিনেত্রী হিসেবে সাফল্য পেয়েছিলেন। মেয়ে পড়াশোনা করার পর অভিনয় করুক, এটাই তিনি চাইতেন। সায়রা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, মায়ের ঘাগরা, লিপস্টিক পরে তাঁকে নাচতে দেখে নাসিম নাকি মেয়েকে পড়াশোনার জন্য লন্ডনে নিয়ে চলে গিয়েছিলেন। মা, দিদিমা এবং ভাই সুলতানের সঙ্গে পড়াশোনার জন্য লন্ডনে থাকতেন সায়রা। দিদিমা শামশেদ বেগম ছিলেন শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী। তিনি লন্ডনেই থাকতেন। বাড়িতে শিল্পচর্চার পরিবেশের মধ্যেই ছোট থেকে বড় হয়ে উঠেছিলেন সায়রা। ১৯৬১-তে ‘জঙলি’ ছবির জন্য পরিচালক তথা প্রযোজক সুবোধ মুখোপাধ্যায় সায়রাকে পছন্দ করেন। সেই তাঁর ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির পথ চলার শুরু।
সায়রা ছোট থেকেই নাকি দিলীপ কুমারের ভক্ত ছিলেন। মাত্র ১২ বছর বয়স থেকেই নাকি তাঁকে বিয়ে করার স্বপ্ন দেখতেন। সেই স্বপ্ন পূরণ হয় ২২ বছর বয়সে। দিলীপের বয়স তখন ৪৪। তবে সায়রার সঙ্গে ১৬ বছরের দাম্পত্যের পর নিজে থেকেই সরে যান দিলীপ। পাক সমাজকর্মী আসমা রেহমানকে বিয়ে করেছিলেন দিলীপ। মাত্র দু’বছর স্থায়ী হয়েছিল সেই দাম্পত্য। ফের সায়রার কাছে ফিরেছিলেন অভিনেতা। আসমার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া তাঁর ভুল হয়েছিল, এ কথা পরে মেনে নেন দিলীপ কুমার। সায়রাও আর ওই ঘটনা মনে রাখতে চাননি। তাঁদের দাম্পত্য অনেকের কাছেই উদাহরণ।
আরও পড়ুন, সৌরভ দাসের ‘মিটার ডাউন’, নভেম্বরে আসছে ‘কাটাকুটি’ও