AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

সাজিদের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ ওয়াজিদ খানের স্ত্রী

সাজিদ যদিও এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত একটা বাক্যও ব্যয় করেননি। বরং দিন কয়েক আগে এক রিয়ালিটি শো'র মঞ্চে এসে ভাইয়ের কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন তিনি। সেই শোয়ে হাজির ছিলেন তাঁদের মা রাজিনাও। সেখানে ওয়াজিদ সম্পর্কে এক তথ্যও শেয়ার করেন রাজিনা।

সাজিদের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ ওয়াজিদ খানের স্ত্রী
তাঁর অভিযোগ, স্বামীর মৃত্যুর পর ওয়াজিদের যাবতীয় সম্পত্তি হস্তগত করে নিয়ে চাইছে সাজিদ এবং তাঁর মা।
| Updated on: Apr 20, 2021 | 11:19 PM
Share

ওয়াজিদ খানের দাদা সাজিদের বিরুদ্ধে এ বার আদালতের দ্বারস্থ হলেন প্রয়াত সুরকারের স্ত্রী কমলরুখ। তাঁর অভিযোগ, স্বামীর মৃত্যুর পর ওয়াজিদের যাবতীয় সম্পত্তি হস্তগত করে নিয়ে চাইছে সাজিদ এবং তাঁর মা। বম্বে হাইকোর্টের কাছে তিনি পিটিশন জমা দিয়ে আর্জি জানান, সাজিদের পরিবার যাতে তাঁর স্বামীর সম্পত্তি কোনও ভাগ না পায় সে ব্যাপারে স্থায়ী নির্দেশ দিক আদালত।

কমলরুখ তাঁর পিটিশনে আরও দাবি করেন, ২০১২ সালে তাঁর স্বামী ওয়াজিদ এক উইলের মাধ্যমে তাঁর অবর্তমানে সমস্ত সম্পত্তি তাঁর স্ত্রী এবং সন্তানের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই সম্পত্তিতে কোনও তৃতীয় ব্যক্তির হস্তক্ষেপের অধিকার নেই বলেই দাবি করেছেন কমলরুখ। একইসঙ্গে আদালতের কাছে অন্তর্বর্তীকালীন রেহাই চেয়ে আবেদন করেছেন তিনি। অন্যদিকে বম্বে হাইকোর্টের তরফে এই মাসেরই ২১ তারিখের মধ্যে সাজিদ খান ও তাঁর মা-কে এক নোটিস পাঠিয়ে তাঁর জবাব চেয়ে পাঠিয়েছে আদালত।

আরও পড়ুন- করোনায় প্রয়াত হলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা, অভিনয় করেছেন ‘সিম্বা’, ‘বাস্তব’ সহ জনপ্রিয় ছবিতে

এর আগেও ওয়াজিদের পরিবারের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছিলেন কমলরুখ। তিনি জানান, ২০০৩ সালে তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয় ওয়াজিদের। তিনি পার্সি। কিন্তু ওয়াজিদের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁকে ধর্ম পরিবর্তন করার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়। তাঁর দাবি, সে জন্যই সন্তানসহ আলাদা থাকতে শুরু করেন তিনি। তিনি আরও অভিযোগ করেন, ওয়াজিদের মৃত্যুর পর সাজিদ ওয়াজিদের সম্পত্তি আত্মসাৎ করার পাশাপাশি অ্যাকাউন্ট ম্যানেজারদেরও কমলরুখের ফোন ধরতে বারণ করে দিয়েছেন।

আরও পড়ুন- রমজান মাসেই দুঃসংবাদ, পিতৃহারা হলেন হিনা খান

সাজিদ যদিও এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত একটা বাক্যও ব্যয় করেননি। বরং দিন কয়েক আগে এক রিয়ালিটি শো’র মঞ্চে এসে ভাইয়ের কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন তিনি। সেই শোয়ে হাজির ছিলেন তাঁদের মা রাজিনাও। সেখানে ওয়াজিদ সম্পর্কে এক তথ্যও শেয়ার করেন রাজিনা। তিনি জানান উ যখন এগিয়ে আসেননি তখন তাঁর বড় ছেলে সাজিদের স্ত্রী লুবনাই নিজের কিডনি দান করেছিলেন ওয়াজিদকে। ২০১৯-এ হওয়ার সেই অস্ত্রোপচারের ফলেই ভাল ছিলেন সুরকার।কান্নায় ভেঙে পড়ে প্রৌঢ়া জানান, তিনি নিজে ডায়াবেটিক, তা ছাড়া বয়সজনিত কারণে ছেলেকে কিডনি দান করা সম্ভব হয়নি তাঁর পক্ষে। তিনি বলেন, “এই সময়ে দাঁড়িয়ে যেখানে বাবা-মা সন্তানকে কিডনি দিতে চায় না, সেখানে লুবনা রক্তের সম্পর্ক না হয়েও দু’বারের জন্য ভাবেনি।”

কিডনি প্রতিস্থাপনের পর ভালই ছিলেন ওয়াজিদ। যদিও গত বছর আচমকাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৪৭ বছর বয়সে মারা যান ওয়াজিদ খান।