আলিয়া ভাট। কেরিয়ারের শুরুতে একের পর এক ছক্কা হাকিয়েছেন তিনি। কখনও ব্লকবাস্টার ছবি, কখনও আবার জাতীয় পুরস্কার জিতে নেওয়া, আলিয়া ভাটকে নিয়ে বরাবরই ভক্তমনে উত্তেজনার পারদ থাকে তুঙ্গে। জীবনের প্রতিটা ধাপে ব্যলন্সের সঙ্গে পদক্ষেপ করে থাকেন তিনি। ব্যক্তিজীবনও গুছিয়ে নিয়েছেন তিনি। বিয়ে থেকে সন্তান, সব সিদ্ধান্তই নিয়েছেন তিনি কেরিয়ারের পিকে থাকার সময়ই। অন্তঃসত্ত্বা আলিয়া ভাট রকি অউর রানি কি প্রেম কহানি ছবির শুটও করেছেন। সন্তান জন্মের পর ছবির গানের শুট করেছেন তিনি। অন্তঃসত্ত্বা আলিয়া খুব একটা ছুটি নেননি। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁকে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি রণবীরের সঙ্গে বিভিন্ন পার্টিতে উপস্থিত হতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
সেই সময় নিজের শরীর থেকে ডায়েট নিয়ে বেশ সচেতন থাকতেন অভিনেত্রী। বরাবরই তাই। তবে মা হওয়ার সময় একটা খাবারের প্রতি তাঁর ছিল নিত্য বায়না। তাঁর নিউট্রিশনিস্ট সুমন আগরওয়াল খোলসা করেন, এই সময় একটা বাঙালি খাবার রোজ অডার করতেন আলিয়া ভাট। আর তা হল নলেন গুড়ের সন্দেস। নলেন গুড়ের সন্দেশ ক্রেভিং-এ নিত্য ছিলেন বুঁদ। বাঙালিদের কাছেও এই মিষ্টির টানই আলাদা। শীত পড়ে যাওয়া মানেই মিষ্টির দোকানে নলেন গুড়ের মিষ্টির খোঁজ পড়ে যায়।
বসন্তের মাঝামাঝি নলেনগুড় আর মেলে না। তখন আবারও একবছরের অপেক্ষা। আলিয়ারও মন জয় করে বাঙালিদের প্রিয় পদ। অন্তঃসত্ত্বা থাকার সময় আলিয়ার প্রতিদিন পাতে চাই নলেন গুড়ের সন্দেশ। প্রসঙ্গত এই সময়টা খুব যে ছকভাঙা ডায়েটে ছিলেন আলিয়া এমনটা নয়। তিনি যথেষ্ট শরীর সম্পর্ক সচেতন ছিলেন, মাঝে মধ্যে পছন্দের খাবার খেতেন তিনি।