‘সারাজীবন সম্মান চেয়েছি, সম্মানটাই পেয়েছি…’ চিরঞ্জিত চত্রবর্তী। টলিউডে একের পর এক জনপ্রিয় ছবি উপহার দিয়ে একদা রাজত্ব করা এই স্টার ঠিক কেমন আছেন? বর্তমানে পর্দায় তাঁকে নিত্য দেখা না গেলেও ক্যামেরা, অভিনয় থেকে বিরতি বা দূরত্ব কোনওটাই চাননি তিনি। নিজের মতো করে নিজের চরিত্রকে বারে বারে পর্দায় যিনি তুলে ধরেছেন, চেয়েছেন চিরঞ্জিতের মোড়ক ছেড়ে বেরিয়ে চরিত্র হয়ে উঠতে, তাঁর মনের কোণে আজ কালো মেঘ। যদিও আজও তাঁর অভিনয়ের দাপট সকলের নজরের কেন্দ্রে, সদ্য ওটিটি-তেও ঝড় তুলেছেন তিনি। তবে অতীত উস্কে মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তাঁর কণ্ঠভারী হয়ে আসে। মাঝে মধ্যেই চোখের কোল আসে ভিজে। চিরঞ্জিত, বরাবরই বিশ্বাস করেন জীবন যেন খোলা বইয়ের মতো না হয়। তাঁর কথায় এতে বৈবাহিক সম্পর্কও দীর্ঘ হয়। কখনই নিজেকে উজার করে দিতে নেই। সন্দেশ টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মন খুলে কথা বলেছিলেন অভিনেতা।
চিরঞ্জিত নিজের সম্পর্কের বলতে গিয়ে গর্বের সঙ্গে বলেন, “আমি কোনওদিনই দামাল নই। আমি আমার সীমার মধ্যেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করতাম। আমার পরিধিটা লক্ষ্মী ছেলের। যার ফলে আমার খুব একটা অসুবিধে হতো না। আমি একাই ঘুড়ি ওড়াতাম। আনন্দ করতাম। কখনও কখনও কেটে যেত, সন্ধের দিকে হঠাৎ করে দেখতাম, ঘুড়িটা পড়ে গেল। কে যে কাটল বুঝতেও পারতাম না। নাকি ছিঁড়ে বেরিয়ে গিয়েছে। তখন আকাশে চোখ রাখতাম, কোথাও খুঁজে পেতাম না। কিন্তু ছিল তো একটু আগেই তো আমি উড়িয়েছি। তখন থেকে আমার এটা মনে হতো, ঘুড়িটা বোধহয় মেঘের ওপরে রয়ে গিয়েছে। যার ফলে যখন প্রথম বম্বে (মুম্বই) গিয়েছিলাম, ছোটবেলার ফ্যান্টাসিটা মনে পড়ে যায়। নীচের দিকে তাকিয়ে দেখেনিলাম, ঘুড়িটা আছে কি না…। যাঁর মানসিকতা এমন হয় প্রকৃত দুষ্টুমিটা তাঁর আসে না।”
এখানেই শেষ নয়, অভিনেতা সেদিন বলেছিলেন, “আমি সম্মানই চেয়েছিলাম চিরকাল, সম্মানই পেয়ে গেলাম। আমাকে কেউ বলে না যে আমি কোনও স্ক্যান্ডেলের সঙ্গে জড়িয়ে। আমায় সিবিআই-ইডি খোঁজে না। কারণ আমার নামে কোনও কেস নেই…। সেই কারণে সম্মানটাই আমি নিয়ে যাচ্ছি…।”