‘চার আনার মাল খেয়ে আট আনার দাদাগিরি, এ তো মানা যাবে না/রেশনের চাল খেয়ে বিরিয়ানির বাতেলা, সেটাও দেওয়া যাবে না।
সিগারেট খাম ভরে/রেখেছ বাংলা বিড়ি
আইটেম দেখলে তবু মিস করিনা বলতে/উফ কী লাগচে…’। গায়ক এবং সুরকার কেশব দে। ভিউজ ১০.৮২৮,৯৮৯। ২০১৯ সালে ২ অক্টোবরের ‘ওহ কি লাগচে’ ’রিলিজের পর, বিয়ে বাড়ি থেকে পাড়ার বার্ষিক প্রতিযোগিতা, শীতকালের পিকনিক থেকে বিশ্বকর্মা পুজো, টিকটক থেকে ভাসান ডান্সে একচ্ছত্র আধিপত্ব কায়েম রেখেছে। দু’বছর পেরিয়ে এসেও সে গান সুপারহিট। এবং এই ‘সুপারহিট’ ফ্যাক্টরকে কাজে লাগাল বঙ্গ সিপিআইএম। ‘টুম্পা ব্রিগেড চল’, ‘হাল ফেরাও, লাল ফেরাও’, ‘টুম্পা তোকে নিয়ে ভোট দেব’, ‘ও টুনির মা তোমার টুনি কথা শুনেচে’ এবং ‘গোয়াল ঘরে চোর ঢুকেছে কোথায় সিবিআই’-এর পর তাঁদের নতুন উপস্থাপনা ‘ওহ কি লাগচে’-র রাজনৈতিক প্যারোডি।
আরও পড়ুন আক্রান্ত অক্ষয় কুমার , বলিউডে আবারও করোনার হানা
প্যারোডি গানে সুর কেশব দের গানের সঙ্গে হবহু মিলে যায়, তবে গানের কলি গিয়েছে বদলে। নতুন গানের শুরুটা ঠিক এমন —‘তৃণমূলে টাকা খেয়ে বিজেপিতে পাল্টিবাজি, এ তো মানা যাবে না/সবই তো ডেলোর কেলো, কয়লা, কোকেন, কাটমানি, সততা ধরা যাবে না।
বছর দশক ধরে/রেখেছ বেকার করে
লাল ঝান্ডা দেখলে তাই মনটা আমার নেচে বলে/ওহ কী লাগচে!’
গানের পরিকল্পনায় রয়েছেন সৌরভ পালোধীও সৈকত ঘোষ। আয়োজনে সপ্তক সানাই এবং গানটি লিখেছেন কুশল চট্টোপাধ্যায় এবং গেয়েছেন কৃষ্ণেন্দু সাহা। গীতিকার কুশলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, শব্দ চয়নে বেশ কিছু চটুল শব্দ ব্যবহার হয়েছে গানে, খুব কি প্রয়োজন ছিল? উত্তরে কুশল বলেন “দেখুন, আমি পিট সিগার, লেনন কিংবা ডিলানের গানের অনুবাদ করতে পারতাম কিন্তু সেটা করার পরে একজন রিকশাচালককে সিগার, ডিলান অথবা লেননের গান এত কম দিন, যখন নির্বাচন চলছে, এমন সময়ে বোঝাতে অসফল হতে পারি। তাই, এমন গান যার শব্দ মানুষ সহজে বুঝতে পারে, তাই লেখার চেষ্টা করেছি।”
অরিজিনাল গানের স্রষ্টা অর্থাৎ কেশব দে এই প্যারোডি গানের বিষয় অবগত ছিলেন না, গোটা গান শুনে প্রতিক্রিয়া জানালেন TV9 বাংলাকে। তিনি বলেন, “আমার তো দারুণ লেগেছে। গান জনপ্রিয় হওয়ার পর তা নিয়ে প্যারোডি হয়। আমার গান ভাল লেগেছে বলেই না, লোকজন তা নিয়ে প্যারোডি করছে,” কেশবের নিজস্ব রাজনৈতিক মতাদর্শ আছে, তা যদি বামর সঙ্গে না মেলে তাহলে উনি চাইলে কপিরাইট দাবি করতে পারেন, তিনি কি তা করবেন? উত্তরে কেশব বলেন, “একজন শিল্পী রাজনৈতিক হতে পারেন না, তাঁর শ্রোতা তো সবাই। গান রিলিজের পর এখন আর এটা আমার নেই, সবার হয়ে উঠেছে। আমি কোনও কপিরাইটের ব্যাপার নিয়ে ভাবছি না। এক্স, ওয়াই, জেড যে কোনও দল আমার গানের প্যারোডি করতে পারে, তবে হ্যাঁ তা রুচিশীল হওয়া আবশ্যক।”
‘চার আনার মাল খেয়ে আট আনার দাদাগিরি, এ তো মানা যাবে না/রেশনের চাল খেয়ে বিরিয়ানির বাতেলা, সেটাও দেওয়া যাবে না।
সিগারেট খাম ভরে/রেখেছ বাংলা বিড়ি
আইটেম দেখলে তবু মিস করিনা বলতে/উফ কী লাগচে…’। গায়ক এবং সুরকার কেশব দে। ভিউজ ১০.৮২৮,৯৮৯। ২০১৯ সালে ২ অক্টোবরের ‘ওহ কি লাগচে’ ’রিলিজের পর, বিয়ে বাড়ি থেকে পাড়ার বার্ষিক প্রতিযোগিতা, শীতকালের পিকনিক থেকে বিশ্বকর্মা পুজো, টিকটক থেকে ভাসান ডান্সে একচ্ছত্র আধিপত্ব কায়েম রেখেছে। দু’বছর পেরিয়ে এসেও সে গান সুপারহিট। এবং এই ‘সুপারহিট’ ফ্যাক্টরকে কাজে লাগাল বঙ্গ সিপিআইএম। ‘টুম্পা ব্রিগেড চল’, ‘হাল ফেরাও, লাল ফেরাও’, ‘টুম্পা তোকে নিয়ে ভোট দেব’, ‘ও টুনির মা তোমার টুনি কথা শুনেচে’ এবং ‘গোয়াল ঘরে চোর ঢুকেছে কোথায় সিবিআই’-এর পর তাঁদের নতুন উপস্থাপনা ‘ওহ কি লাগচে’-র রাজনৈতিক প্যারোডি।
আরও পড়ুন আক্রান্ত অক্ষয় কুমার , বলিউডে আবারও করোনার হানা
প্যারোডি গানে সুর কেশব দের গানের সঙ্গে হবহু মিলে যায়, তবে গানের কলি গিয়েছে বদলে। নতুন গানের শুরুটা ঠিক এমন —‘তৃণমূলে টাকা খেয়ে বিজেপিতে পাল্টিবাজি, এ তো মানা যাবে না/সবই তো ডেলোর কেলো, কয়লা, কোকেন, কাটমানি, সততা ধরা যাবে না।
বছর দশক ধরে/রেখেছ বেকার করে
লাল ঝান্ডা দেখলে তাই মনটা আমার নেচে বলে/ওহ কী লাগচে!’
গানের পরিকল্পনায় রয়েছেন সৌরভ পালোধীও সৈকত ঘোষ। আয়োজনে সপ্তক সানাই এবং গানটি লিখেছেন কুশল চট্টোপাধ্যায় এবং গেয়েছেন কৃষ্ণেন্দু সাহা। গীতিকার কুশলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, শব্দ চয়নে বেশ কিছু চটুল শব্দ ব্যবহার হয়েছে গানে, খুব কি প্রয়োজন ছিল? উত্তরে কুশল বলেন “দেখুন, আমি পিট সিগার, লেনন কিংবা ডিলানের গানের অনুবাদ করতে পারতাম কিন্তু সেটা করার পরে একজন রিকশাচালককে সিগার, ডিলান অথবা লেননের গান এত কম দিন, যখন নির্বাচন চলছে, এমন সময়ে বোঝাতে অসফল হতে পারি। তাই, এমন গান যার শব্দ মানুষ সহজে বুঝতে পারে, তাই লেখার চেষ্টা করেছি।”
অরিজিনাল গানের স্রষ্টা অর্থাৎ কেশব দে এই প্যারোডি গানের বিষয় অবগত ছিলেন না, গোটা গান শুনে প্রতিক্রিয়া জানালেন TV9 বাংলাকে। তিনি বলেন, “আমার তো দারুণ লেগেছে। গান জনপ্রিয় হওয়ার পর তা নিয়ে প্যারোডি হয়। আমার গান ভাল লেগেছে বলেই না, লোকজন তা নিয়ে প্যারোডি করছে,” কেশবের নিজস্ব রাজনৈতিক মতাদর্শ আছে, তা যদি বামর সঙ্গে না মেলে তাহলে উনি চাইলে কপিরাইট দাবি করতে পারেন, তিনি কি তা করবেন? উত্তরে কেশব বলেন, “একজন শিল্পী রাজনৈতিক হতে পারেন না, তাঁর শ্রোতা তো সবাই। গান রিলিজের পর এখন আর এটা আমার নেই, সবার হয়ে উঠেছে। আমি কোনও কপিরাইটের ব্যাপার নিয়ে ভাবছি না। এক্স, ওয়াই, জেড যে কোনও দল আমার গানের প্যারোডি করতে পারে, তবে হ্যাঁ তা রুচিশীল হওয়া আবশ্যক।”