Bappi Lahiri: ‘গত ৫০ বছরে এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হইনি’, কেন বললেন বাপ্পি?
Bappi Lahiri: শরীর কিছুটা সুস্থ হতেই ফের কাজে ফিরেছেন বাপ্পি। আগের মতো হয়তো প্রচুর কাজ এখনই করতে পারছেন না। তবে ধীরে ধীরে শারীরিক পরিস্থিতি আরও উন্নত হলে পুরোদমে কাজে ফিরবেন।
করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁর স্বরযন্ত্র বিকল হওয়ার খবর যে ভুয়ো তা আগেই জানিয়েছিলেন সঙ্গীতশিল্পী বাপ্পি লাহিড়ি। সত্যি খবর জানানোর জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নিয়েছিলেন। এ বার সরাসরি সংবাদমাধ্যমে মুুখ খুললেন বাপ্পি।
সদ্য এক সাক্ষাৎকারে বাপ্পি বলেন, “আমার নাকি স্বরযন্ত্র খারাপ হয়ে গিয়েছে, একাধিক জায়গায় এই রিপোর্ট দেখে আমার খুব খারাপ লেগেছে। এটা বিরক্তিকর। তিন দিন আগে আমার নাতির সঙ্গে একটা তথ্যচিত্রের জন্য শুটিং করছিলাম। সুস্থ না হলে সেটা পারতাম? আমি ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি। কখনও এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হইনি। হালকা সর্দি, কাশি রয়েছে। তার জন্য সিরাপ বা ট্যাবলেট খাচ্ছি। এটা খুব সামান্য একটা ব্যাপার। আগের থেকে অনেক ভাল আছি আমি।”
শরীর কিছুটা সুস্থ হতেই ফের কাজে ফিরেছেন বাপ্পি। আগের মতো হয়তো প্রচুর কাজ এখনই করতে পারছেন না। তবে ধীরে ধীরে শারীরিক পরিস্থিতি আরও উন্নত হলে পুরোদমে কাজে ফিরবেন। বাপ্পি বলেন, “সম্প্রতি তিনটে গান আমি রেকর্ড করলাম। কম্পোজও করেছি। একটা গণপতি বাপ্পা মোরিয়া। ওটা রিলিজও করল। দুর্গাপুজোর জন্য ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সঙ্গে একটা গান রেকর্ড করলাম। দুদিন আগে একটা বাংলা ছবির সাউন্ড ট্র্যাকের কাজ শেষ করলাম। শান, আদিত্য নারায়ণ, আরমান মালিক, আলিশা চিনয় গাইছে সেই ছবিতে। আমার অনুরাগীরাই আমার ঈশ্বর। তাঁদের এবং গণপতি বাপ্পার আশীর্বাদে আমি ভাল আছি।”
এর আগে নিজের অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রাম পেজে একটি লিখিত বার্তার মাধ্যমে বাপ্পি বলেছিলেন, ‘কিছু মিডিয়া আমাকে নিয়ে এবং আমার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ভুয়ো রিপোর্ট ছড়াচ্ছে জেনে অত্যন্ত খারাপ লাগল। আমার অনুরাগীদের এবং শুভ্যানুধ্যায়ীদের আশীর্বাদে আমি ভাল আছি।’ হ্যাশট্যাগে ‘ফলস রিপোর্টিং’ ব্যবহার করেছিলেন তিনি।
গত এপ্রিলে করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন গায়ক-কম্পোজার বাপ্পি লাহিড়ি। কোভিডের পাশাপাশি তাঁর ফুসফুসের সমস্যারও চিকিৎসা চলেছিল। যদিও কোভিড নেগেটিভ হয়ে কিছুদিনের মধ্যে বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। সূত্র বলছে কোভিড নেগেটিভ হলেও দুর্বলতা রয়েছে তাঁর। আপাতত নাকি হুইলচেয়ারেই যাতায়াত করতে হচ্ছে তাঁকে। এমনকি জুহুর বাংলোতে তাঁর সুবিধার জন্য লাগানো হয়েছে একটি লিফটও। সূত্র বলছে, যারা বাপ্পিদাকে এই কয়েক মাসে দেখতে এসেছেন তাঁরা সবাই বলেছেন শরীর মোটেও ভাল নেই তাঁর। কিছুদিন ধরে তিনি কথাও বলছেন না। আর সে কারণেই অনেকেই মনে করছে বাকশক্তি বুঝি হারিয়ে ফেলেছেন তিনি।
যদিও এ সব রটনার মাঝেই সংবাদমাধ্যমকে সুরকারের ছেলে বাপ্পা জানিয়েছিলেন, চিকিৎসাজনিত কারণেই ইচ্ছাকৃত কথা বন্ধ রেখেছেন তাঁর বাবা। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছিলেন, “কোভিডের পাশাপাশি বাবার ফুসফুসেরও সমস্যা দেখা দিয়েছিল। বাবাকে কথা বলতে বারণ করা হয়েছে। আর সে কারণেই রটেছে বাবা স্বর হারিয়ে ফেলেছে।” তিনি আরও যোগ করেন, “বাবা অসুস্থ। কিন্তু তাঁর প্রাণশক্তি তুঙ্গে। ভাইরাস হয়তো বাবাকে কাবু করেছে কিছুটা। সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। কিন্তু তিনি দ্রুত সুস্থতার পথে এগোচ্ছেন।” হুইলচেয়ারে বাবার চলাফেরা নিয়ে তাঁর বক্তব্য, “ডাক্তার বাবার আর এক হাঁটুও প্রতিস্থাপন করার কথা বলেছে। যদিও আমাদের কোনও তাড়া নেই।” প্রসঙ্গত, এই বছরের শুরুতে বাপ্পির এক হাঁটু প্রতিস্থাপন হয়।
আরও পড়ুন, Jeetu Kamal: সংসার করা কতটা কঠিন? আড়াই বছরের দাম্পত্যে কী উপলব্ধি জীতুর?