Ekta Bhattacharjee: বাংলার মেয়ের ‘বাহুবলী’ যোগ, হাতের জাদুতে জীবন্ত হল বঙ্কিমের সৃষ্টি!

Ekta Bhattacharjee: দক্ষিণ ভারতের বিগ বাজেট ছবির পোস্টার নির্মাণ করার জন্য ডাক পেয়েছেন একতা। মোশন পোস্টারটি পোস্ট করেছেন নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতেও।

Ekta Bhattacharjee: বাংলার মেয়ের 'বাহুবলী' যোগ, হাতের জাদুতে জীবন্ত হল বঙ্কিমের সৃষ্টি!
বাঙালি পোস্টার ডিজ়াইনার একতা ভট্টাচার্য।
Follow Us:
| Updated on: Aug 19, 2022 | 6:38 PM

স্নেহা সেনগুপ্ত

বিগত কয়েক বছরে নিজের পাকাপোক্ত জায়গা তিনি করে নিয়েছেন বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। বড় কোনও ছবি তৈরি হলেই পোস্টার ডিজ়াইনের দায়িত্ব চলে যায় তাঁর কাছে। বলা ভাল, আধুনিকতার ছোঁয়ায় গোটা গল্পটা একটা পোস্টারে ফুটিয়ে তুলতে একতা ভটাচার্যর জুড়ি খুঁজে পাওয়া এখন সত্যিই কঠিন। তাই তো তাঁকে কেউই আটকে রাখতে পারছে না। তিনি প্যাশনের পিছু নিয়েছেন, আর সাফল্য তাঁর পিছু নিয়েছে। এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সময় বাবা-মাকে তিনি বলেছিলেন, ৩০ বছর বয়সে পেরলেই বাংলার বাইরে কাজ করতে শুরু করবেন। এবং হলও তাই। একতার ভাগ্য আরও খানিকটা খুলল এবার। এতদিন বাংলার হয়ে পোস্টার ডিজ়াইন করেছিলেন বড়-বড় বাংলা ছবির। এবার দক্ষিণ ভারতের বিগ বাজেট ছবির পোস্টার নির্মাণ করার জন্য ডাক পেয়েছেন একতা এবং তাঁর টিম। মোশন পোস্টারটি পোস্ট করেছেন নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতেও।

এখানে উল্লেখ্য, যে মোশন পোস্টারে একতা কাজ করলেন, সেটির সঙ্গে রয়েছে ‘বাহুবলী’ যোগ। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘আনন্দমঠ’-এর ১৫০তম বর্ষপূর্তিতে দক্ষিণ ভারত তৈরি করতে চলেছে একটি বিরাট মাপের ছবি, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘১৭৭০’। একতা নির্মিত পোস্টারেই জ্বলজ্বল করছেন ছবির নাম। ‘বাহুবলী’ যোগ কেন? তার কারণ, ‘বাহুবলী’ এবং ‘আরআরআর’ ছবির পরিচালক এসএস রাজামৌলীর সহকারী অশ্বিন গঙ্গারাজু ছবির ক্যাপ্টেন অফ দ্য শিপ, অর্থাৎ নির্দেশক। এবং  চিত্রনাট্যকার আগেই ‘মগধীরা’, ‘আরআরআর’, ‘বাহুবলী’র-এর মতো ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন। তিনি কে ভি বিজয়েন্দ্র প্রসাদ। সৃজণ ও সৃষ্টির নেপথ্যে রয়েছেন বাঙালি পরিচালক রাম কমল মুখোপাধ্যায়। বাংলা ভাষাতেও সেই ছবি ডাব করা হবে।

…আর ছবির সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে বাংলার একতার নাম। বিষয়টি নিয়ে দারুণ আনন্দিত একতার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল TV9 বাংলা। তিনি বলেছেন, “দক্ষিণ ভারতের কোনও প্রজেক্টে এই প্রথম আমরা কাজ করলাম। অভিজ্ঞতা একটু অন্যরকম হয়েছে। দারুণ ভাল লেগেছে কাজ করে। তার উপর ‘বন্দেমাতরম’, ‘আনন্দমঠ’-এর ১৫০ বছরের পূর্তিতে এরকম একটা কাজ করতে পারলাম দেখেই খুব ভাল লাগছে। তবে অনেকটা দায়িত্ব কাঁধে চেপেছে। এই ধরনের কোনও প্রজেক্টে কাজ করতে গেলে বাড়তি চাপ হয়েই থাকে। এটার জন্য আমি রামদা ও আমার টিমের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব।”

কীভাবে কাজটা করলেন একতা?

শিল্পী বলেছেন, “ওঁরা কিন্তু আমাকে বলেই দিয়েছিলেন কী চাইছেন। কাঠামো তুলে ধরেছিলেন আমার চোখের সামনে। মোশন পোস্টার দেখলে বুঝবেন, একজন সুঠাম পুরুষকে দেখা যাচ্ছে। এই বেসিক ক্যারেক্টার স্কেচ ওঁরা আমাকে দিয়েই দিয়েছিলেন। জানিয়ে দিয়েছিলেন, হিরোকে কেমন দেখতে হবে। সেইটা ফলো করেই আমি কাজটা করেছি।”